পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আয়নায় ভালো করে নিজেদের চেহারাটা দেখতে বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন-দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি প্রেস কনফারেন্স করতে পারে, আর প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনা করে বক্তব্য দিতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতারা মূঢ় অহংকারের কারণে বিস্মৃতপ্রবণ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী নেতারা কী ভুলে গেছেন সরকারের সমালোচনা করার কারণে গভীর রাতে দলীয় কার্যালয় ভেঙে তছনছ করে গ্রেপ্তারের কথা, ভুলে গেছেন ২০১৩ সালে পুলিশ ঢুকিয়ে সারা কার্যালয় তছনছ করে বিএনপি মহাসচিব ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ ১৫৪ জন বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার কথা। তাহলে তখন কি আপনাদের তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল না? কয়েকদিন আগে একতরফা জাতীয় সংসদের ভেতরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সম্পর্কে যে উদ্ভট, অলীক, অসংসদীয়, অশ্রাব্য কটূবাক্য প্রধানমন্ত্রী ব্যবহার করেছেন সেটি কোন গণতান্ত্রিক রীতিতে পড়ে? বিএনপিসহ বিরোধী দলের সভা-সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া কোন গণতান্ত্রিক রীতিতে পড়ে? বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন কোন গণতান্ত্রিক রীতি? বন্দুকের জোরে দেশের প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করে দেশ থেকে বিতাড়ণ কোন গণতান্ত্রিক রীতিতে পড়ে? মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করা কোন গণতান্ত্রিক রীতি? ধমক দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা কোন গণতান্ত্রিক রীতি? আমি আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সাহেবকে অনুরোধ করব- নিজেরা আয়নায় ভালো করে নিজেদের চেহারাটা দেখুন।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কেন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খালেদা জিয়া নতুন কোনো রোগে আক্রান্ত হননি, তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর সরকারি ব্যবস্থাপনার বাইরে বেগম জিয়াকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়।
সুতরাং আমাদের কথাই সত্যি হলো। তারা বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে দুরভিসন্ধিমূলক এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। লোক মুখে যে কথা প্রচারিত তাই সত্য হচ্ছে, রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়াকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই তাঁর জীবনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিনী তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে চরম অবনতির দিকে ঠেলে দিতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তার সরকার এক নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব প্রশ্ন করে বলেন, কোন ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাবন্দি থাকা অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন? কোন ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের চিকিৎসা হয়েছিল রাজধানীর ল্যাব এইড বা বারডেমে। সুতরাং খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেওয়াই যে সরকারের উদ্দেশ্য তা আবারও সুস্পষ্ট হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।