পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৩৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। আলোচ্য আট মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। যদিও অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে সরকারের ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ছিল ১৫ হাজার কোটি টাকা। এদিকে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি বাড়ায় সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ধার করেই প্রয়োজনীয় খরচ মেটাচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে অব্যাহতভাবে আমানতের সুদের হার হ্রাস এবং পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দার কারণে একটু বেশি লাভের আশায় সবাই ‘নিরাপদ’ বিনিয়োগ সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদফতরের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের শুরুতেই সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৩৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। গেল আট মাসে নিট ১৯ হাজার ৮৯০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করেছে সরকার। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৩ শতাংশ বেশি। এ অবস্থায় অর্থবছরের বাকি চার মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি দ্বিগুণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকার ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে। কিন্তু বছর শেষে তা ২৮ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকায় ঠেকে। জানা গেছে, প্রতিদিন যে টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয় তা থেকে আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যেটা অবশিষ্ট থাকে সেটাকেই নিট বিক্রি বলে হিসাব করা হয়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ওই মাসে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে এই বিক্রির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে সুদ-আসল পরিশোধের পর নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ২৮৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর জানুয়ারিতে এই বিক্রির পরিমাণ ছিল আরও একটু বেশি ৩ হাজার ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এক হাজার ৯৭৬ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। আগস্টে তা বেড়ে ২ হাজার ৬৯১ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নবেম্বরে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২ হাজার ৫৪ কোটি, ২ হাজার ৩৫৩ কোটি এবং ২ হাজার ২৯২ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।