পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধে আবারো মেঘনার ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকার প্রায় ১শ’ মিটার আরসিসি ব্লকবাঁধ নদীতে তলিয়ে গেছে। নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী ও চাঁদপুর চেম্বার পরিচালক গোপাল সাহা জানান, শহররক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার এলাকার প্রায় ১১শ’ মিটার বাঁধের রাম ঠাকুর মন্দির, পুরাণবাজার মোলহেড, দক্ষিণ বাজার, হরিসভা ও রনাগোয়াল বকাউল বাড়ি পর্যন্ত এ কয়েকটি পয়েন্ট মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে দুটি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ সংরক্ষণ কাজ চলমান থাকার মধ্যেও নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত ব্লক এবং বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা না হলে বাঁধ ভেঙে এলাকার বিরাট জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ওই এলাকার বাসিন্দা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বিমল চৌধুরী জানান, বুধবার বেলা ১২টার পর থেকে হরিসভা মাস্টার বাড়ির পেছনে শহররক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। পরে কয়েক সারির ব্লকবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে পুরাণবাজার মধ্য ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকা এখন নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, বর্ষার পানি পবাহের সাথে সাথে চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ ঘেষে প্রবল ঘূর্ণি স্রোত বইছে। স্রোতের তীব্রতায় পুরাণবাজার হরিসভার ডাউনে ৬০/৭০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকও মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংরক্ষণে ব্লক ফেলার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি আরো জানান, ২০০৫-২০০৬ সালের পর চাঁদপুর শহররক্ষা বাঁধ সংরক্ষণে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি, তাই এ এলাকায় মেজর কোনো কাজ হয়নি।
এলাকাবাসীর দাবি, নদী ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর শহর রক্ষায় বিক্ষিপ্ত কোনো কাজ নয়, স্থায়ীভাবে রক্ষার পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া খুবই দরকার। বর্তমানে শহরের বড় স্টেশন মোলহেড থেকে পুরাণবাজার হরিসভা-বকাউল বাড়ি পর্যন্ত শহররক্ষা বাঁধ এলাকায় মেঘনার পানির সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ৭০ ফুট। বাঁধ ঘেঁষে ঘূর্ণি স্রোত এবং উল্লেখিত এলাকায় পানির গভীরতা অপ্রত্যাশিত হবার কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এলাকাবাসী জানায়, প্রতি বছর বর্ষা আসলেই নদী ভাঙন দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কী কাজ করে তাও বোধগম্য নয়। এ বছর এখনই নদীর পরিস্থিতি ভয়াবহ। সামনে বর্ষার ভরপুর সময় তো রয়েছেই। বড় ধরনের ভাঙন শুরু হবার আগেই ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন ভাঙন কবলিত শহরবাসী।
শহররক্ষা বাঁধ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙছে খবর পেয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে স্টকে থাকা ব্লক ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।