বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা ও বিশ্ব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রফতানি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের টার্গেটে এ খসড়া চ‚ড়ান্ত করা হয়। এই অঙ্ক বিদায়ী অর্থবছরে অর্জিত আয়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে পণ্য খাত থেকে ৪০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন এবং সেবা খাত থেকে ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রফতানির টার্গেট ঠিক করা হয়েছে। পণ্য খাতের মধ্যে শীর্ষে থাকা তৈরি পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। স¤প্রতি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে বিভিন্ন খাতের স্টেকহোল্ডারের বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রার খসড়া চ‚ড়ান্ত করা হয়। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনায় রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্মতি দিলেই চ‚ড়ান্ত ঘোষণা আসবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, রফতানি নীতি ২০১৫-১৮-তে সেবা খাতের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ফলে ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে সেবা খাতকে রফতানি আয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত অর্থবছরে রফতানি আয়ের টার্গেট ছিল ৪১ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে পণ্য খাতে টার্গেট ছিল ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। ইপিবি’র সবশেষ হিসেবে দেখা যায়, টার্গেট থেকে ২ দশমিক ২২ ভাগ কম আয় হয়েছে। তবে ইপিবি’র দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এখনও চ‚ড়ান্ত হিসাব আসেনি। সংশোধিত আয়ের চিত্র পাওয়া গেলে টার্গেট অতিক্রম করবে। প্রস্তাবিত খসড়ায় কয়েকটি খাতে নতুন লক্ষ্যমাত্রার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পোশাক খাতে রফতানির টার্গেট ছিল ৩০ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থবছর শেষে প্রাথমিক হিসাবে আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে পোশাক খাতে নতুন রফতানি টার্গেট ধরা হচ্ছে ৩৩ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া পাট ও পাটজাত পণ্যে ১১৬ কোটি ডলার, ফুটওয়্যারে ৬৩ কোটি ডলার, হিমায়িত মাছ রফতানি খাতে সাড়ে ৫১ কোটি ডলার, সবজি ও ফলমূলে সাত কোটি ৩৩ লাখ ডলার, হস্তজাত পণ্য রফতানি খাতে প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ ডলার টার্গেট নির্ধারণ করা হচ্ছে। কৃষিজাত পণ্য খাতে রফতানি টার্গেট ৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে গেল অর্থবছরে আয় এসেছে প্রায় ৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। নতুন অর্থবছরে এ আয়ের ওপর ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঠিক করা হয়েছে। আর চামড়া রফতানি খাতে গেল অর্থবছর অর্জিত রফতানির চেয়ে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ ঠিক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।