পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাতবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হলেও সরকার কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করছে। এর বড় উদাহরণ হচ্ছে খালেদা জিয়ার জেল। যিনি তার জীবনের বড় অংশ গণতন্ত্রের জন্য উৎসর্গ করছেন তাকে একটি মিথ্যা মামলায় আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ ১১ দিন ধরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি কারাগারে অসুস্থ।
বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর লেক শোর হোটেলে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। “রাইট টু লাইফ এ ফার ক্রাই ইন বাংলাদেশ ২০০৯-জুন ২০১৯” শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির হিসেবে ৫’শর অধিক নেতাকর্মী হারিয়ে গেছে তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, ১০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা করা হয়েছে, মাসখানেক আগে পর্যন্ত সারাদেশের বিএনপির ৭৮হাজার নেতাকর্মীকে মামলা দেওয়া হয়েছে। ১৮ লক্ষ মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপিকে ছাড়া দেশে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না। শুধু তাই নয়, বিগত তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কী হয়েছে তা আপনারা সকলেই অবগত রয়েছেন। এ অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে।
গোলটেবিল আলোচনার শুরুতেই বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ জানান, আলোচনা সভায় উপস্থিত রয়েছেন জাতিসংঘ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র্র, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণ।
শুরুতেই ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বর্তমান সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যার তালিকা ও সংখ্যার আলোকে একটি তথ্যচিত্র প্রর্দশন করা হয়। এ তালিকা করা হয় মানবাধিকার সংস্থা অধিকার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য ব্যবহার করে। দেশের চলমান রাজনীতি ও মানবধীকার বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের ক’টনীতিক ও প্রতিনিধিদের অবহিত করে দেওয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, গুম, হত্যা করা হচ্ছে, মানুষের লাশ পড়ে থাকছে, নারীরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সম্ভ্রম হারাচ্ছে, শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে, রাজনীতিক দলের যারা ভিন্নমত পোষণ করে তাদের ওপরে রাষ্ট্রীয়বাহিনীর নির্যাতন, ভিন্নমত পোষণকারী ছাত্রকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয়েছে, এটা এখন বাংলাদেশের প্রতিদিনের চিত্র।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অনেকবার এ বিষয়গুলো বিভিন্ন সমাবেশের মাধ্যমে বলেছি। কিন্তু র্দূভাগ্যের কথা এতো কিছু পরেও সরকারের কর্নগোচর হয় না। আমরা জানি এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আর এ কারনে তারা ন্যায় নীতি সংবধিান কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে তারা একের পর এক মানবধিকার লংঘন করে তারা ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে যা কিছু বলা হয়েছে যদিও আমি জানি এর সামান্য অংশ সাংবাদিকরা দেখাতে পারবেন, খুব বেশী তারা বলতেও পারবেন না, লিখতেও পারবেন না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা ছিলো তা যদি বাস্তাবায়িত করতে চাই, যা এখন লুপ্ত হয়ে গেছে, লুণ্ঠিত হয়েছে। তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে এই যে দানবিয় শক্তি আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমাদের গণতন্ত্র, মানবধীকার, গণতান্ত্রিক চেতনা, আমাদের অর্জনগুলো, প্রজন্মের ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই তাদেরকে রুখে দাাঁড়াবার জন্যে আজকে সত্যিকার অর্থেই একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হওয়া দরকার এবং সেই সঙ্গে আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।