পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ওরা ৭ জন। মেয়র প্রার্থী সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের। মুখোমুখি হয়েছিলেন ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। ‘জনগণের মুখোমুখি মেয়র প্রার্থীরা’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেট নগরীর রিকাবিবাজারে মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে মিলিত হয়েছিলেন তারা। হাতে হাত বেঁধে একত্রে ফটোসেশনও করলেন। প্রত্যকে প্রার্থীই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দীপ্তমান। তবে জনপ্রতিনিধিত্বের বাড়তি অভিজ্ঞতা রয়েছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের। বাকীরা সুযোগ চাই যোগ্য হবো, সেই প্রত্যয়ে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। তবে নগরী নিয়ে অন্যদের মত্যে তারাও স্বপ্ন বুনেন নিরন্তর।
সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সুজনের সদস্য সচিব ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নাগরিকরা মেয়র প্রার্থীদের কাছে নগরীর বিভিন্ন সমস্যা ও আকাঙ্খা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ধরেন উপস্থিত দর্শকরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আ. লীগ মনোনীত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপির মনোনীত আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), নাগরিক কমিটির প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম (বাসগাড়ি), মহানগর জামায়াত নেতা এহসানুল মাহবুব জুবায়ের (টেবিল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন (হাতপাখা), সিপিবি-বাসদ মনোনীত প্রার্থী আবু জাফর (মই) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের (হরিণ)।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, কেবল স্বপ্ন দেখাই না, স্বপ্ন বাস্তবায়য়ে পরীক্ষিত আমি। এই নগরীতে ২০১০ সালে একটি মাস্টার প্ল্যান হয়েছিল যা একেবারেই নগরবান্ধবহীন। পরিকল্পিত উন্নয়নে সচেষ্ট হয়ে নগর ও নাগরিক বান্ধব প্ল্যানের মাধ্যমে সবার স্বপ্নকে জয় করতে কাজ করবো আমি।
বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, একজন নাগরিক সকালে ঘর থেকে বের হয়ে রাতে যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে এটি নিশ্চিত করাও মেয়রের দায়িত্ব। আমি এই নগরবাসীর সুখে দুঃখে অতীতেও যেমন পাশে ছিলাম আগামীতেও থাকবো।
নাগরিক কমিটির প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম বলেন, ৩০ তারিখের নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে সিলেটের জনগণ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মহানগর জামায়েতের আমির এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, দেশের একটি সুন্দরতম শহর হিসেবে সিলেটকে গড়তে যথাযথ উদ্যোগ গহণ করবো আমি।
ইসলামী শাসনতন্ত্রের মেয়র নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা বিনোদন কেন্দ্রে চালুরও ঘোষণা দেন ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন।
সিপিবি-বাসদের প্রার্থী আবু জাফর বলেন, কাজ করবো একটি বাসযোগ্য নগরী গড়তে ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল হক তাহের বলেন, আমি যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।
সিসিক নির্বাচনে পরাজিত হলে ফলাফল মেনে নেয়া এবং করপোরেশনের উন্নয়নে বিজয়ী প্রার্থীকে সহযোগিতা করাসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার জন্য উদ্যোগ গ্রহণেরও প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন মেয়র প্রার্থীরা।
আ.লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী কামরানের গণসংযোগ:
মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেছেন, আগামী ৩০ জুলাই সিলেটের মানুষ নৌকার পক্ষে মত দেবেন। সিলেটের মানুষ এখন নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। যেখানেই যাচ্ছি মানুষের ভালোবাসায় ও দোয়া সিক্ত হচ্ছি। গতকাল দুপুরে সিলেটের রিকাবীবাজার পয়েন্টে গনসংযোগকালে প্রিন্ট ও টেলিভিশন মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মুশফিক জায়গীরদার, সিলেট মহানগরীর ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমান সাহেদ, মুরাদ আহমদ মুরন প্রমুখ।
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আরিফের গণসংযোগ:
গতকাল সকাল ১১টার নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় প্ররচারণা চালান মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। কোর্ট পয়েন্ট থেকে ৪টি দলে বিভক্ত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন। দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গণসংযোগকালে করেছেন আরিফুল হক চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও নগরবাসীর সেবায় তাকে সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাখাওয়াত হোসেন জীবন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা কলিম উদ্দিন আহমদ, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গৌস, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আজমল বখত সাদেকসহ বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই মেয়র প্রার্থীর গনসংযোগ:
মেয়র প্রার্থী প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খানের সমর্থনে বুধবার সকাল থেকে নগরীর ১ ৪,১৬,২০,২৪, নং ওয়ার্ডে হাতপাখার সমর্থনে গণসংযোগ করা হয় স্থানীয় ভোটার ও ব্যবসায়ীদের সাথে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহানগর সভাপতি নজির আহমদ, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সিলেট জেলার সদর মুফতি মোঃ ফখর উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আহমদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শিহাব উদ্দিন, সহ-সভাপতি মনির হুসাইন, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল আহমদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল কাদির মাহদী, দফতর সম্পদক অলিউর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।