পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিথ্যা ও সাজানো রাজনৈতিক মামমলায় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাবিধি লঙ্ঘন করে ১১ দিন যাবত তার পরিবারের লোকজনসহ কাউকেই দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘কারাবন্দি হিসেবে বেগম জিয়ার যে সাংবিধানিক অধিকার পাওয়ার কথা সেটি থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ১১ দিন ধরে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজনও দেখা করতে পারছেন না। ৩০শে জুন সর্বশেষে তারা দেখা করেছেন। আমরা তো পারছিই না। এমনকি আইনজীবী ও তার চিকিৎসকরাও দেখা করতে পারছেন না।’
বৃহস্পতিবার (১১ই জুলাই) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেনে, ‘জেলকোডের বিধানমতে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের দেখা না করতে দেওয়া তার এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে আটক রাখার পর তিনি কারাবিধির ৬১৭ বিধি অনুসারে ডিভিশন-১ প্রাপ্ত হন।
ডিভিশন-১ প্রাপ্ত বন্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য কারাবিধির সপ্তদশ অধ্যায়ে (বিধি-৬৬৩-৬৮১) বর্ণিত অধিকারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার রাজনৈতিক সহকর্মী/বন্ধুবান্ধবের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি বিশদভাবে বলা আছে।
তিনি আরো বলেন, উপরোক্ত বিধানের অতিরিক্ত হিসেবে আরও বলা যায়, বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু সাজার মামলায় জামিনে আছেন, সেহেতু তাকে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হিসেবে বিবেচনা না করে বিচারাধীন মামলায় বন্দি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সে হিসেবেও কারাবিধির সপ্তবিংশ অধ্যায়ে (বিধি-৯০৯-৯১০) অনুসারে তিনি প্রথম শ্রেণির ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দি। সেখানেও তার রাজনৈতিক সহকর্মী/বন্ধুদের সাক্ষাতের অধিকার বিধি-৬৮২তে প্রদান করা আছে।
‘শুধু তাই নয়, কারাবিধির ৮০(৪) বিধি অনুসারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে কারাগারের প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাক্ষাৎ প্রার্থীর মতামত অন্তর্ভুক্তির জন্য নির্ধারিত ভিজিট বই রাখার বিধানও করা হয়েছে’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাবিধি অনুসারে এখন গণ্য হবেন না। কারণ, তিনি সাজার মামলায় জামিনে আছেন। ফলে বিচারাধীন মামলায় আসামি হিসেবে কারাবিধির ৬৮২তে প্রদত্ত অধিকার বাদেও কারা আইন ১৮৯৪ এর ধারা ৪০ এর বিধানমতে তার রাজনৈতিক সহকর্মী/বন্ধুদের সাক্ষাতের অধিকার রাখেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখানে একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে একজন নারী কর্মীকে থাকার অনুমতি দিয়ে সরকার যে বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করছে তা জাতির সঙ্গে ধোঁকাবাজি করা। কারণ কারাবিধি ৯৪৮ অনুসারে সরকার একজন মহিলা কর্মী দিতে বাধ্য।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বলছি বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আলাদা আদালত বানিয়ে তাকে দ্রুত সাঁজা দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া। তাকে সরিয়ে দিতে পারলেই তাদের পথের কাটা দূর হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি বেগম জিয়াকে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক সাংসদ সালাউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।