Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বসুন্ধরা শপিংমলে লাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১:৫৮ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পান্থপথের বসুন্ধারা সিটি শপিং কমপ্লেক্স থেকে সার্জিল আহমেদ অনিম (২২) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশের এক্সকেলেটরের পাশ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এটি আত্মহত্যা না হত্যাকান্ড সে বিষয়ে সংশয়ে রয়েছে স্বজনরা।
মৃত সার্জিল কেরাণীগঞ্জের ইমামবাড়ি এলাকার মো. আবদুল আওয়ালের ছেলে। তিনি বাবু বাজারে একটি ওষুধের ফার্মেসিতে কাজ করতেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
কমপ্লেক্সের নিরাপত্তাকর্মী জাহিদ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, আজ (গতকাল) মার্কেট সাপ্তাহিক বন্ধ। তবে সিনেপ্লেক্স খোলা ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব পাশের এক্সকেলেটরের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে পড়ে থাকতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন। ওই যুবক কেন মার্কেটে এসেছিল বা কিভাবে পড়ে গেল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তেজগাঁও থানার এসআই দেওয়ান মো. সবুর জানান, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দিকে শপিং কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশের এক্সকেলেটরের পাশে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে পুলিশে খবর দেয় ব্যাবসায়ীরা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে শপিং কমপ্লেক্সের সপ্তম তলায় মৃত যুবকের একটি মোবাইল ফোন ও এক জোড়া জুতা পাওয়া গেছে। যার কারণে সপ্তম তলা থেকে পরে ওই যুবক মারা যেতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছে। ঘটনাটি আরও নিশ্চিত হতে সপ্তম তলার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
মৃত সার্জিলের মামা ইয়াকুব হোসেন জানান, সার্জিল বাবু বাজারের একটি ওষুধ ফার্মেসিতে কাজ করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে খাবার নিয়ে বাবুবাজারে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হয়। বেলা ১টার দিকে সার্জিলের মোবাইল থেকে পুলিশের এক সদস্য বাসায় কল করে বিষয়টি জানায়। পরে পরিবার ও স্বজনরা ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে সার্জিলের লাশ শনাক্ত করেন।
ইয়াকুব হোসেন আরও জানান, সার্জিল খুবই সহজ-সরল। ওর বন্ধু-বান্ধব খুবই কম। সকালে ফার্মেসিতে না গিয়ে বসুন্ধারায় কেন গেল সেটিও বুঝা যাচ্ছে না। এছাড়া এটি আত্মহত্যা না হত্যাকান্ড সেটিও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ