Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীল-লক সেবা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিভিন্ন বেসরকারি কন্টেইনার টার্মিনালে পণ্য পরিবহনে ইলেকট্রনিক সীল ও লক সেবা বিধিমালা-২০১৮ বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চট্টগ্রামের চেম্বার নেতারা। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ও মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান গতকাল (মঙ্গলবার) এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে পৃথক দু’টি জরুরী আবেদন প্রেরণ করেন। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি বলেন, আমদানি-রফতানি কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে এ অঞ্চলে প্রাইভেট আইসিডি বা অফডক স্থাপন করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত বা রফতানি পণ্য চট্টগ্রামের আইসিডি বা অফডকে পরিবহনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক সীল ও লক সেবা বিধিমালা-২০১৮ জারী করে গত ২৬ জুন প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়। উক্ত বিধিমালার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রাইভেট আইসিডিসমূহে আমদানিকৃত বা রফতানি পণ্য পরিবহনে ইলেকট্রনিক সীল ও লক সেবা প্রদানের উল্লেখ করা হয়। এ বিধিমালার অধীনে প্রতি কন্টেইনারে ইলেকট্রনিক সীল ও লক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘন্টার পরবর্তী প্রতি ঘন্টার জন্য, প্রতি কাভার্ডভ্যান বা ট্রাক ৬০০ টাকা এবং ৪৮ ঘন্টার পরবর্তী প্রতি ঘন্টার জন্য ৫০ টাকা হারে ফিস নির্ধারণ করা হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর ও প্রাইভেট আইসিডিসমূহের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেনি। কন্টেইনার স্থানান্তরকালে এ মধ্যবর্তী স্থানে কোন শুল্ক বা কর ফাঁকির প্রচেষ্টাও পরিলক্ষিত হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দর ও প্রাইভেট আইসিডিসমূহের মধ্যে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক কন্টেইনার স্থানান্তরিত হয়। উল্লেখিত লক সেবা চালু হলে বন্দরের কার্যক্রমে অহেতুক সময়ক্ষেপন হবে এবং ব্যয় বৃদ্ধি পাবে যা প্রকারান্তরে ভোক্তাসাধারণের উপরেই বর্তাবে। তাই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে উল্লেখিত বিধিমালাটি বাতিলের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদানের জন্য ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে চেম্বার সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, এ খাতে ফি দিতে হলে বছরে কয়েক শত কোটি টাকা ব্যবসা ব্যয় বাড়বে। প্রস্তাবিত এমন সেবা পৃথিবীর কোথাও আছে বলে জানা যায় না। বর্ণিত বিধিমালা- সময়ক্ষেপন, বন্দরে কন্টেইনার- কাভার্ড ভ্যান বা ট্রাক জট বৃদ্ধি পেয়ে চলমান পরিবহন সমস্যা আরও ভয়াবহ করে রফতানি প্রবাহ বহুলাংশে ধীরগতি হয়ে বিনিয়োগের পরিবেশ বিনষ্ট করবে। ব্যবসায়ী মহল বাড়তি ব্যয় কাঁধে নেবে না, জনদুর্ভোগ বাড়বে। সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ আলোচনা না করে গৃহীত বিধিমালা সরকারের চলমান ব্যবসা বান্ধব ও ব্যয় কমানো নীতি পরিপন্থী, যা বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সরকারী নীতির সাথে মানায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ