বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ ২ লাখ ৯০ হাজার ৩৮৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পদ শূন্য রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সরকারের ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শূন্য পদের সংখ্যা তুলে ধরেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদের সংখ্যা ৪১ হাজার ৮৬৯টি, যা মোট ফাঁকা পদের সাড়ে ১৪ শতাংশ। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগে ৩৪ হাজার ৯২৩টি, জননিরাপত্তা বিভাগে ২৮ হাজার ৩৫০টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১৫ হাজার ৫২৫টি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে ১৩ হাজার ১৫৫টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ১২ হাজার ৮৩৭টি পদ শূন্য রয়েছে।
প্রায় ৩৪ লাখ মামলা বিচারাধীন
সংরক্ষিত নারী আসনের সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে জানান, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের আদালতগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলা ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৯টি, ফৌজদারি মামলা ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭টি। অন্যান্য (কনটেম্পট পিটিশন, রিট, আদিমসহ) মামলার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯১৩টি। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলা ১৮ হাজার ২৪৬টি এবং হাই কোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৬টি। অধন্থন আদালতে মাট বিচারাধীন মামলা ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭টি। মামলা জট কমাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন বিচার বিভাগ দেশের বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করতে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো ও এজলাস সঙ্কট নিরসনে বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে বিভিন্ন পর্যায়ের বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের। আমি যতটুকু জানি, শিগগির আপিল বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগের জন্য প্রেসিডেন্ট চিন্তা ভাবনা করছেন। সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, বর্তমানে দেশে ১ হাজার ১২৯টি আইন প্রচলিত রয়েছে। (২০১৮ সালের ৩০ পর্যন্ত)।