Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৩:৩৫ পিএম, ১৪ এপ্রিল, ২০১৬

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠিতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইব্রাহীম খলিল রাজুসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এ নির্যাতিত কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. শফিকুল করিম ঝালকাঠি সদর থানার ওসিকে অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী ঝালকাঠি সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ফয়সাল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইব্রাহীম খলিল রাজু ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি মোবাইলের দোকানে ফ্লেক্সিলোড করার সময় ওই কলেজ ছাত্রীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। এক পর্যায় তাদের সঙ্গে কথাবার্তার সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইব্রাহীম খলিল রাজু ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তার মা-বাবার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেয়ার কথা বলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় ঢুকে রাজুর বাবা মাকে দেখতে না পেলেও আসামির ছোট বোন, মামলার দুই নম্বর আসামি মিমি আক্তারকে দেখতে পায়। সে তাদের জন্য চা করে আনার কথা বলে রুমের বাইরে থেকে ছিটকানি আটকিয়ে দিলে রাজু কলেজ ছাত্রীকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে ও তার নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে। এ বিষয়ে কাউকে জানালে তার ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে মিমি দরজার ছিটকানি খুলে চা নিয়ে প্রবেশ করলে নির্যাতিতা ছাত্রীটি কাঁদতে কাঁদতে নিজের বাসায় ফিরে এসে বাবা মাকে ওই ঘটনা জানায়।
২২ ফেব্রুয়ারি বিকালে নির্যাতিতার পরিবার বিষয়টি রাজুর অভিভাবকদের জানায়। তারা ওই কলেজ ছাত্রীকে ছেলের বউ হিসাবে গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে ইব্রাহীম খলিল রাজু ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করে। নিরুপায় হয়ে ওই কলেজ ছাত্রী গতকাল আদালতে মামলা দায়ের করে।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইব্রাহীম খলিল রাজু বলেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল ঠিকই, কিন্তু তাকে ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়।
ঝালকাঠি থানার ওসি মাহে আলম বলেন, এখনো আদালতের নির্দেশ আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি। আসামাত্র ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ