Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যৌতুক না পেয়ে স্বামী কেটে নিলো হাত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

যৌতুকের টাকা এনে দিতে না পারায় পাষন্ড স্বামী কেটে নিল হাত। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের কসাই পাড়া গ্রামে। জানা গেছে দাবীকৃত যৌতুক দিতে না পারায় পাষন্ড স্বামী লিটন মিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুলসুমকে কুপিয়ে প্রথমে তার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করে এবং পরে শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করে। বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর কুলসুম বেগম কিছুটা সুস্থ হয়ে ৩ জুলাই লিটন মিয়াসহ অপরাপর ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে স্বামী লিটন মিয়া ও স্ত্রী কুলসুম বেগমের দাম্পত্য জীবন শুরুর পর কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুক লোভী কসাই লিটন মিয়া (২৫)সহ তার ভাই রিপন (৩৫), উজ্জল মিয়া (৪২), নূর ইসলাম (৪৭), শফিকুল ইসলাম (৪০) ও রবি মিয়া (৫০) স্ত্রী কুলসুম বেগমকে তার বাবার বাড়ী থেকে একলাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বেশ কয়েক দফা চাপ প্রয়োগ করে। পিতৃহীনা কুলসুম বেগমের পক্ষে একলাখ টাকা যৌতুক এনে দেয়া সম্ভব নয় বলে জানালে তার উপর পাষন্ড কসাই লিটনসহ তার অন্যান্য ভাইয়েরা অমানুষিক নির্যাতক চালায়। চার মাসের অন্তঃসত্ত¡া নববধূ কুলসুম বেগমের উপর নির্যাতন চালিয়েও ক্ষান্ত থাকেনি ওই পাষন্ডরা। তাদের যৌতুকের দাবী পূরণ করতে না পারায় বিভিন্ন স্থানে থেকে খদ্দের এনে কুলসুমকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানোর অপচেষ্টা চালায় বলে নির্যাতিতা কুলসুম বেগম জানান। এসব ঘটনায় প্রথমত যৌতুক দাবী প্রত্যাখ্যান এবং দ্বিতীয়ত দেহ ব্যবসায় রাজী না হওয়ায় স্বামী কসাই লিটন মিয়া ঘটনার দিন ১৩ জুন বিকেলে মদ্যপ অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী কুলসুম বেগমকে প্রথমে তার ডান হাতটি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তার অন্যান্য ভাইয়েরা কুলসুমকে জীবনে শেষ করে দেয়ায় উসকানি দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা ও মামলার বাদী কুলসুম বেগমের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী আলমগীর কিবরিয়া কামরুল জানান, যৌতুকের দাবীতে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত¡াকে লোমহর্ষক নির্যাতন এবং হাত কেটে নেয়ায় সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিনা খরচে তার মামলার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি সু-সৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ