পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাবলিক পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী অংশ না নেয়া, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হলো ২০২টি মাদরাসা। গতকাল এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল, মাদরাসার কোড বা অনলাইন পাসওয়ার্ড, ইআইআইএন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সহকারি সচিব মো. আব্দুল খালেক স্বাক্ষরিত এক চিঠি দিয়ে এসব মাদরাসা বন্ধ করা হয়েছে। এসব মাদরাসাগুলোকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে মন্ত্রণালয়কে দ্রত সময়ে জানানোর কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। একই অভিযোগে বন্ধের তালিকায় আছে আরও আড়াই শতাধিক মাদরাসা রয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। সরকারের এমন কঠোর পদক্ষেপে বন্ধ আতষ্ক বিরাজ করছে মাদরাসাগুলোতে। একই অভিযোগে সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও এ ব্যাপারে কার্যত: কোন উদ্যোগ নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ অভিযান সব স্তরের প্রতিষ্ঠানের জন্য সমানভাবে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেন, কোন শিক্ষার্থী থাকবে না আর বছরের পর বছর প্রতিষ্ঠান চলবে তা হতে পারে না। এ অভিযান আরও চলতে থাকবে বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, যেসব মাদরাসায় দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পাস, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক ও ছাত্র নেই, এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত মাদরাসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয় আর নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা বোর্ড বা অধিদপ্তর। এরপর এসব মাদরাসার খোঁজ পায় মাদরাসা বোর্ড। বিভিন্ন সময় এসব প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিল ও অনলাইন পাসওয়ার্ড ইআইআইএন কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তবে এসব মাদরাসার তালিকা দিতে বারবার গড়িমসি করে মাদরাসা বোর্ড। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের তাগিদে তা দিতে বাধ্য হয় বোর্ড। অভিযোগ রয়েছে, কেন তাদের শোকজ করা হচ্ছে তার জবাব চাওয়া হয় মাদরাসা বোর্ডের কাছে। এ চিঠির ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত দেয়নি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।
বন্ধ হওয়ার মাদরাসাগুলো ময়মনসিংহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, জামালপুর ও কুষ্টিয়ার তিনটি করে প্রতিষ্ঠান; সিলেট, বরিশাল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, মাগুরা ও কুড়িগ্রামের দুটি করে, নরসিংদী, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, ভোলা, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, জয়পুরহাট, বাগেরহাট, নীলফামারী, ফেনী, পিরোজপুর, বরগুনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, লালমনিরহাট ও রাজবাড়ীর একটি করে প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অন্যদিকে দাখিল পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস না করায় আরও ৯৬টি মাদরাসাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে গত মে মাসে। এ নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের দাখিল পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার শূন্য হওয়ায় মাদরাসাগুলোর প্রাথমিক পাঠদান স্থগিত, একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (ইআইআইএন) কেন বন্ধ করা হবে না, তা চিঠি পাওয়ার ২১ দিনের (কর্মদিবস) মধ্যে জানাতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানও কারণ দর্শানো জবাব দিয়েছে। যার অধিকাংশই সন্তোষজনক না। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি আরও ১৮৯টি মাদরাসাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার প্রক্রিয়া শূরু হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানও শূন্য শিক্ষার্থী ও পাস, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকাসহ এমপিও ও পাঠদানের অনুমতির শর্ত পূরণ করছে না। তবে এ ১৮৯টি মধ্যে ৯৬টি মাদরাসার বেশ কয়েকটি রয়েছে। সবমিলিয়ে আরও আড়াই শতাধিক মাদরাসা রয়েছে বন্ধের তালিকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।