পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই প্রচার প্রচারণা জমজমাট হচ্ছে। এখন অপেক্ষা শুধু প্রতীক বরাদ্দের। আগামী দশ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ হবে। এরপর প্রচার প্রচারণায় বিধি নিষেধ থাকবেনা। মেয়র থেকে কাউন্সিলর পর্যন্ত মুখিয়ে আছে সব প্রার্থী। এখন চলছে বিভিন্নভাবে প্রচারণা। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের কোন সভা করতে হলে আগেই স্থানীয় পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। জনসভা কিংবা পথসভা নয়ই অনুমতি ছাড়া কোন ঘরোয়া সভা করা যাবেনা। প্রচারে মন্ত্রী এমপিরা যেতে পারবেনা। এমন নির্দেশনাই কৌশলী প্রচারণায় ছন্দ পতন ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরে রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা ১৪ দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। রাজশাহীর অন্য দু’তিনজন এমপিও প্রচারণা চালান। ঢাকা থেকে বেশকিছু কেন্দ্রীয় নেতা এসে প্রচারণা চালিয়ে যান। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষ সাবেক মেয়র এমপিরা সভা করে তাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেবার সময় দেয়া হলফনামা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী লিটন আর বুলবুলের হিসাব নিকাশ নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। বিগত নির্বাচন (২০১৩) সালে দেয়া সম্পদ বিবরণী আর বর্তমানের সম্পদ বিবরণী নিয়ে একে অপরকে ঘায়েল করতে চাইছেন। লিটনের পক্ষ থেকে কলা হচ্ছে বিদায়ী মেয়রের পাঁচ বছর আগে কত কি ছিল। আর এখন কত কি ? পাঁচ বছর তার আয় বেড়েছে বহুগুন। এর বাইরে অনেক কিছু আছে। অন্যদিকে বুলবুলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গতবারের চেয়ে এবার তার আয় বাড়ার কারন হচ্ছে মেয়র হিসাবে বেতন ভাতা পাওয়া। বিগত নির্বাচনের সময় লিটন দু’লাখ টাকা দামের গাড়ি ব্যবহার করলেও এখন চড়েন পয়ত্রিশ লাখ টাকা দামের গাড়িতে। পাঁচ বছর মেয়র থাকলেও বুলবুৃলের গাড়ি পর্যন্ত নেই। এমন পাল্টাপাল্টি চলছে। দুই প্রার্থী বলছেন তাদের সব আয় বৈধভাবে অর্জিত। তারা যথা নিয়মে আয়করও পরিশোধ করেছেন। এনিয়ে বিতর্ক করার কারন নেই। খায়রুজ্জামান লিটনের দাখিল করা হলফ নামায় ২০১৩ সালে বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ৫৮ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭২ টাকা আর এবার দেখানো হয়েছে ৪২ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৮ টাকা। অন্যদিকে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের গত নির্বাচনের সময় বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল একলাখ বিরানব্বই হাজার টাকা। আর এবার দেখানো হয়েছে ২১ লাখ ৫৭ হাজার ২১৬ টাকা। নীট সম্পদ বুলবুল দেখিয়েছেন ৪৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩৭১ টাকা। লিটনের নীট সম্পদের পরিমান ২ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ১৫১ টাকা।
লিটন বুলবুলের বাইরে জাতীয় পাটির মেয়র প্রার্থী ওয়াসিউর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। আর পেশা ঠিকাদার। তাছাড়া আয়ের উৎস কৃষিখাত ও বাড়ি ভাড়া। বাংলাদেশ জাতীয় পাটির প্রার্থী হাবিবুর রহমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম পাশ। বছরে ব্যবসা ও বাড়ি ভাড়া থেকে তার আয় তিনলাখ ত্রিশ হাজার টাকা। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম এমএসএস পাশ। তার ব্যবসা রয়েছে। আয় দু’লাখ টাকা।
বাতিল দুই প্রার্থী ফিরে পেল প্রার্থীতা
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর আপিল করে দুই প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মেয়র পদের এবং অপরজন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের প্রার্থী।
মেয়র প্রার্থীর নাম মুরাদ মোরশেদ। এই নির্বাচনে তিনিই একমাত্র স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী। তবে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী তাকে সমর্থন দিয়েছে
অন্যদিকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম জিলুর রহমান। তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন গত সোমবার তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। তবে এই দুই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের কাছে আপিল করেছিলেন। সেখানে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও প্রার্থিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে তাদের বৈধ প্রার্থী বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের কোন বাধা থাকলো না।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক মেয়র ও তিন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার শুধু এই দুই প্রার্থী আপিল করেছিলেন। এ নিয়ে বুধবার সকালে শুনানি হয়। সেখানে নিজেদের বৈধতার স্বপক্ষে প্রার্থীরা প্রমাণ দেখালে তাদের প্রার্থিতা বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।