Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনা ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

 ছাড় হল পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রথম কিস্তি। এ পর্যায়ে চায়না এক্সিম ব্যাংক ছাড় করেছে ৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ধরে) দাঁড়ায় প্রায় চার হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৮৫ শতাংশের মধ্যে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ দিচ্ছে চীন। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা দেনদরবার এবং একের পর এক প্রক্রিয়া শেষ করে গত ২৯ জুন এই অর্থছাড় দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারে থাকা ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের গতি বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর ৮৫ শতাংশ অর্থ জোগান দিচ্ছে চীন। গত ৩০ জুন থেকে শেষ হওয়া অর্থবছরে প্রকল্পটি অনুকূলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল সাত হাজার ৬০৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। খরচ করতে না পারায় সেখান থেকে কমিয়ে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। গত মার্চ মাস পর্যন্ত ব্যয় হয়েছিল ১৩৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্পের শুরু থেকে এই সময়ের মধ্যে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এটির সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ১১ শতাংশ। এ অবস্থায় চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পাঁচ হাজার ৩৩০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। চীনের প্রথম কিস্তির অর্থছাড়ের কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যাপক গতি আসবে বলে জানিয়েছে ইআরডি।
ইআরডির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, প্রথম কিস্তির অর্থছাড় করতে গিয়ে চীনের এ ঋণের ক্ষেত্রে যেসব শর্ত মানতে হয়েছে সেগুলো হল, পুরো ঋণটিই হবে প্রিফারেনশিয়াল বায়ার্স ক্রেডিট অর্থাৎ এ ঋণের ক্ষেত্রে চীন দেবে ৮৫ শতাংশ অর্থ আর বাংলাদেশ সরকারকে দিতে হবে ১৫ শতাংশ অর্থ। তবে যদি গভর্নমেন্ট কনসেশনাল ঋণ হতো তাহলে পুরোটাই চীনা অর্থায়ন হতো। কিন্ত তাদের নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনো ঋণ এক সঙ্গে দুটো অপশন থাকতে পারবে না। এছাড়া সুদের হার হবে দুই শতাংশ। ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে ছয় বছরের রেয়াতকালসহ ২০ বছর। ব্যবস্থাপনা ফি গুনতে হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে। প্রতিশ্রæতি ফি দিতে হবে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ হারে। সেই সঙ্গে চুক্তি কার্যকর হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যেই ব্যবস্থাপনা ফি বাবদ ৬৬ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৩ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার দিতে হবে চীনা এক্সিম ব্যাংককে। সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময়ই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে অর্থায়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
কিন্ত নানা কারণে পরবর্তীতে অর্থায়ন নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। এজন্য চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্বিত হতে থাকে। অবশেষে গত ২৭ এপ্রিল বেইজিং ঋণ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এরই মধ্যে মেয়াদ ও ব্যয় বেড়ে যায় ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পে। ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি সমাপ্ত করার পরিবর্তে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তাছাড়া ব্যয়ও বেড়েছে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঋণের

৮ আগস্ট, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ