বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘এফ’ গ্রæপ সেরা হয়েই শেষ ষোল’তে পা রাখে সুইডেন। নক আউট পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ ‘ই’ গ্রæপ রানার্সআপ সুইজারল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে আজ এ দুই দল পরস্পরের মোকাবেলা করবে। সেন্ট পিটার্সবার্গে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
গ্রæপ পর্বে সুইডেনের ছিলো নজরকাড়া পারফরমেন্স। তিনটি ম্যাচেই তারা দারুণ খেলেছে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে দূর্ভাগ্যজনক হার মেনে নিতে হয় তাদের। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে এবারে বিশ্বকাপ শুরু করে সুইডেন। পরের ম্যাচে যোগকরা সময়ের গোলে জার্মানির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে গেলেও গ্রæপের শেষ ম্যাচে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ‘এফ’ গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয় সুইডিশরা। অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বিপেক্ষ ১-১ গোলে ড্র করে রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু করার পরের ম্যাচে সার্বিয়াকে হারায় ২-১ ব্যবধানে। নিজেদের শেষ ম্যাচে সুইসরা কোস্টারিকার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে ‘ই’ গ্রæপ রানার্সআপ হয়ে নাম লেখায় নক আউট পর্বে। এবার দু’দলেরই লক্ষ্য শেষ ষোল’র বাধা টপকানো।
১৯৯০ সালের পর থেকে বিশ্বকাপের প্রতিটি আসরেই শেষ ষোলোয় জায়গা পেয়েছে সুইডেন। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই কমপক্ষে একটি করে গোল করেছে তারা। রাশিয়ায় এবার গ্রæপ পর্বে মেক্সিকোকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জয় পেয়েছে দলটি। এর আগে বিশ্বকাপে তাদের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ১৯৯৪ সালে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ৪-০ গোলে। ৯৪’ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট সুইডেন এবার শেষ ষোলতে সুইজারল্যান্ড বাধা টপকে কোয়ার্টারে যেতে চায়। ম্যাচের আগে দলটির ডিফেন্ডার আন্দ্রিয়াস গ্রাংকভিস্ত বলেন,‘আমরা ইতোমধ্যে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছি। আমি মনে করি গ্রæপ পর্বে সুইডেনের পারফরমেন্স অনুযায়ী সুইজারল্যান্ড শেষ ষোলতে আমাদের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না। আমাদের এবারের লক্ষ্য ৯৪’ বিশ্বকাপের সাফল্য ছড়িয়ে যাওয়া।’ চোটে পরায় এ ম্যাচে মিডফিল্ডার সেবাস্তিয়ান লারসনকে পাচ্ছেনা সুইডেন। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচটি হবে বিশ্বকাপে উজ্জীবিত সুইডেনের ৫০তম ম্যাচ। এর আগে ১০টি দল বিশ্বকাপে ৫০ ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করেছে।
অন্যদিকে ২০০৬ সালের পর এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অপরাজিত থেকে গ্রæপ পর্ব শেষ করে সুইজারল্যান্ড। ১৯৫৪ সালে ঘরের মাঠে শেষবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল তারা। বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের শেষ ১৪টি গোলের এগারোটিই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে। চলতি আসরে দলটির করা পাঁচ গোলের চারটিই ছিল বিরতির পর। সুইজারল্যান্ড দলে একমাত্র জেরদান সাচিরির বড় কোনো টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে গোল করার রেকর্ড আছে। ২০১৬ সালের ইউরোয় পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল পান সাচিরি। শেষ ষোল’র ম্যাচে সুইডেনকে মোকাবেলার আগে জেরদান সাচিরি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আসল পরীক্ষা শুরু। এ পরীক্ষায় আমাদের পাশ করতেই হবে। কোন ভুল করা যাবে না। সুইডেন খুবই শক্তিশালী দল। তবে তাদেরকে হারানোর ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। আমরা সুইডিশদের হারিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাবো- এমন আতœবিশ্বাস নিয়েই কাল (আজ) মাঠে নামবো।’ নিষেধাজ্ঞায় এ ম্যাচে দুই ডিফেন্ডার স্টেফান লিশ্টস্টাইনার ও ফাবিয়ান শারকে পাচ্ছে না সুইজারল্যান্ড।
সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড পরস্পরের মোকাবেলা করেছে ২৭ বার। দু’দলই জিতেছে দশটি করে ম্যাচ, সাতটি হয়েছে ড্র। ২০০২ সালে এক আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে দুই দলের শেষ দেখায় জয় পায়নি কোনো দলই। ১৯৯৫ সালে দুই দলের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল। বিশ্বকাপে দুই দলের পাঁচ দেখায় তিনবার জিতেছে সুইডেন। বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের জয়ী দল কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড বা কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।