দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
এ, কে, এম, ফজলুর রহমান মুন্শী
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ! মহান রাব্বুল আলামিনের দয়া ও অনুকম্পায় আমরা ‘মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কবর দেশে জীবিত আছেন’ শিরোনামে অনেক কথা সহৃদয় পাঠক ও পাঠিকাগণের সামনে ব্যক্ত করেছি এবং অনেকের কাছ থেকে উৎসাহ, গঠনমূলক পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা লাভ করেছি। আল্লাহ জাল্লা শানুহু আমনা নাওয়ালুহু সকলকে সত্যকে জানার ও অনুধাবন করার তওফিক দান করুন, আমিন!
রাহমাতুল্লিল আলামিন শাফীউল মুজনেবীন, সাইয়্যেদুল মুরসালিন, রাসূলু রাব্বিল আলামিন হযরত মোহাম্মদ মুস্তাফা, আহমাদ মুজতাবা (সা.)-এর জীবন ও কর্মকে কেবলমাত্র দুনিয়ার জীবন দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা হলে একান্তই ভুল করা হবেÑ তা নতুন করে বলার দরকার আছে বলে আমরা মনে করি না। তাই আমরা দৃপ্ত কণ্ঠে বলে দিতে চাই যে, মহাবিশ্ব, পৃথিবী ও মানুষ সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কিত কোরআনুল কারীমের আয়াতসমূহের অর্থ ও মর্মের প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকান, অনুধাবন করুন, চিন্তা ও গবেষণার দুয়ার খুলে দিন তবেই বুঝতে পারবেন মূল সত্যের দীপ্ত শিখা কতখানি উজ্জ্বল। কতখানি সুস্পষ্ট। আসুন, এবার সেদিকে লক্ষ্য করা যাক।
১। ইরশাদ হয়েছে : বল, তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই যিনি দুই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা তার সমকক্ষ দাঁড় করাতে চাও? তিনি তো জগৎসমূহের প্রতিপালক। (সূরা হা-মীম-আস্্ সাজদাহ : আয়াত ৯, রুকু-২)।
২। ইরশাদ হয়েছে : তিনি ভূপৃষ্ঠে স্থাপন করেছেন অটল পর্বতমালা এবং এতে রেখেছেন কল্যাণ এবং চার দিনের মধ্যে এতে ব্যবস্থা করেছেন খাদ্যের সমভাবে প্রার্থনাকারীদের জন্য। (সূরা হা-মীম-আস সাজদাহ, আয়াত ১০, রুক-২)
৩। ইরশাদ হয়েছে : তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন, যা ছিল ধূ¤্রপুঞ্জ বিশেষ। অনন্তর তিনি একে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে বিধানের অনুগত হয়ে আস ইচ্ছায় অথবা আনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা অনুগত হয়ে আসলাম। (সূরা হা-মীম-আস্্ সাজদাহ : আয়াত ১১, রুকু-২)।
৪। ইরশাদ হয়েছে : তারপর তিনি আকাশ ম-লকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশে উহার বিধান ব্যক্ত করলেন এবং আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত করলাম এবং সুরক্ষিত করলাম। ইহা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা। (সূরা হা-মীম-আস সাজদাহ : আয়াত ১২, রুকু-২)।
৫। ইরশাদ হয়েছে : তিনি আকাশম-লী নির্মাণ করেছেন স্তম্ভ ছাড়া, তোমরা তা প্রত্যক্ষ করছ; তিনিই পৃথিবীতে পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, যাতে উহা তোমাদেরকে নিয়ে ঢলে না পড়ে এবং এতে সর্বপ্রকার জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং আমিই আকাশ হতে বারি বর্ষণ করে এতে সর্বপ্রকার কল্যাণকর উদ্ভিদ উদগত করি। (সূরা লুকমান : আয়াত ১০, রুকু-১)।
৬। ইরশাদ হয়েছে : যারা কুফুরি করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশম-লী ও পৃথিবী ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল। তারপর আমি উভয়কে পৃথক করেছিলাম এবং পানি হতে প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না? (সূরা আম্বিয়া : আয়াত ৩০, রুকু-৩)।
৭। ইরশাদ হয়েছে : এবং আমি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পর্বত সৃষ্টি করেছি, যাতে পৃথিবী এদেরকে নিয়ে এদিক-ওদিক চলে না যায় এবং আমি এতে প্রশস্ত পথ করেছি, যাতে তারা গন্তব্য স্থলে পৌঁছুতে পারে। (সূরা আম্বিয়া : আয়াত ৩১, রুকু-৩)।
৮। ইরশাদ হয়েছে : এবং আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ করেছি, কিন্তু তারা আকাশস্থিত নিদর্শনাবলী হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা আম্বিয়া : আয়াত ৩২, রুকু-৩)।
৯। ইরশাদ হয়েছে : আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আকাশ এবং পৃথিবী ও সমসংখ্যক, এদের মধ্যে (আকাশ ও পৃথিবীতে) তার নির্দেশ নেমে আসে, ফলে তোমরা বুঝতে পারবে, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং জ্ঞানে আল্লাহ সব কিছুকে পরিবষ্টন করে আছেন। (সূরা তালাক : আয়াত ১২, রুকু-২)।
১০। ইরশাদ হয়েছে : তুমি কি দেখ না যে, যা কিছু আকাশম-লীতে ও পৃথিবীতে আছে তা আল্লাহকে সিজদাহ করে, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্রম-লী, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং মানুষের মধ্যে অনেকে সিজদাহ করে? আবার অনেকের প্রতি শাস্তি অবধারিত হয়েছে, আল্লাহ যাকে হেয় করেন তার সম্মানদাতা কেউ নেই, আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন। (সূরা হজ : আয়াত ১৮ রুকু-২)।
১১। ইরশাদ হয়েছে : তিনি ভূপৃষ্ঠে স্থাপন করেছেন অটল পর্বতমালা এবং এতে কল্যাণ রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে এতে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন সমভাবে প্রার্থনাকারীদের জন্য। (সূরা হা-মীম-আস সাজদাহ : আয়াত ১০, রুকু-২)।
১২। ইরশাদ হয়েছে : বল, তোমরা যাদেরকে শরিক কর তাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছে, যে সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করে ও পরে এর পুনরাবর্তন ঘটায়? বল, আল্লাহই সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন ও পরে এর পুনরাবর্তন ঘটায়, সুতরাং তোমরা কেমন করে সত্য বিচ্যুত হচ্ছ? (সূরা ইউনুস : আয়াত ৩৪, রুকু-৪)।
১৩। ইরশাদ হয়েছে : প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আকাশম-লী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, যিনি বাণীবাহক করেন ফিরেস্তাদেরকে যারা দুই দুই তিন তিন, অথবা চার চার পক্ষবিশিষ্ট। তিনি তার সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা বৃদ্ধি করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা ফাতির : আয়াত ১, রুকু-১)।
১৪। ইরশাদ হয়েছে : আমি প্রত্যেক বস্তু নির্ধারিত পরিমাপে সৃষ্টি করেছি। (সূরা কামার : আয়াত ৪৯, রুকু-৩)।
১৫। ইরশাদ হয়েছে : আকাশম-লী ও পৃথিবী এবং এদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুই আমি যথাযথভাবে নির্দিষ্টকালের জন্য সৃষ্টি করেছি, কিন্তু কাফিররা তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে, তা হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা আহকাফ : আয়াত ৩, রুকু-১)।
১৬। ইরশাদ হয়েছে : সেদিন আকাশম-লীকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে লিখিত দফতর গুটানো হয়, যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। প্রতিশ্রুতি পালন আমার কর্তব্য, আমি তা পালন করবই। (সূরা আম্বিয়া : আয়াত ১০৪, রুকু-৭)
উপরোক্ত আয়াতসমূহের মধ্যে মহাবিশ্ব এবং তার ক্ষুদ্রতম অংশ পৃথিবী সৃষ্টি সম্পর্কে ও আকাশ সৃষ্টি সম্পর্কে বলা হয়েছে। শুরুতে মহাবিশ্ব ধূ¤্রকুঞ্জ (৪১:১১), অন্তরীক্ষ বায়বীয় পদার্থ রূপে ছিল। পরে তা ঘনীভূত বস্তুপি-ে রূপান্তরিত হয়। তারও পরে সেটিকে ‘বিচ্ছিন্ন ও খ-বিখ-িত’ (২১:৩০) করে মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে বিভিন্ন অন্তরীক্ষ বস্তু, যথা-নক্ষত্রপুঞ্জ, তারকারাজি, গ্রহম-লী এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত সকল বস্তুরাজি সৃষ্টি করা হয়। এটি একটি অন্তহীন চলমান প্রক্রিয়া। যা চলতেই থাকবে।
১৭। ইরশাদ হয়েছে : আল্লাহ সমস্ত জীব পানি হতে সৃষ্টি করেছেন, তাদের কর্তৃক পেটে ভর দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে চলে এবং কতক চার পায়ে চলে, আল্লাহ যা ইচ্ছা দৃষ্টি করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সূরা নূর : আয়াত ৪৫, রুকু-৬)।
১৮। ইরশাদ হয়েছে : পবিত্র ও মহান তিনি, যিনি উদ্ভিদ, মানুষ এবং তারা যাদেরকে জানে না তাদের প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন। (সূরা ইয়াছিন : আয়াত ৩৬, রুকু-৩)।
১৯। ইরশাদ হয়েছে : মানুষ কি মনে করে যে তাকে নিরর্থক ছেড়ে দেয়া হবে? সে কি স্খলিত শুক্রবিন্দু ছিল না? তারপর আলাকায় (জমাট রক্তপি-ে) পরিণত হয়, তারপর তাকে আল্লাহ আকৃতি দান করেন ও সুঠাম করেন। তারপর তিনি তা হতে সৃষ্টি করেন যুগল নর ও নারী, তবুও কি সেই ¯্রষ্টা মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম নহে? (সূরা কিয়ামাহ : আয়াত ৩৬-৪০, রুকু-২)।
২০। ইরশাদ হয়েছে : আমি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে সৃষ্টি করেছি; তারপর আমি একে হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে পরিণত করি। (সূরা তীন : আয়াত ৪-৫; রুকু-১)।
২১। ইরশাদ হয়েছে : আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই এবং সকল বিষয়াদি নিষ্পন্ন করার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। (সূরা নিসা : আয়াত ১৩২, রুকু-১৯)।
২২। ইরশাদ হয়েছে : তাঁর ব্যাপার শুধু এই, তিনি যখন কোনো কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে বলেন ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়। (সূরা ইয়াছিন : আয়াত ৮২, রুকু-৫)।
এ কথাও প্রণিধানযোগ্য যে, সাতটি নভোম-ল এবং সমসংখ্যক পৃথিবী (৬৫:১২) সম্পর্কে আল কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সাত সংখ্যাটি দ্বারা কেবলমাত্র সাত সংখ্যাটিই বুঝানো হয়েছে মনে করা ঠিক হবে না। সত্যিকার অর্থে এর দ্বারা বহুত্ব বুঝানো হয়েছে। তবে একমাত্র মানব জাতির নিতান্ত পার্থিব বিষয়াদি ছাড়া আল কোরআনের প্রায় সবখানে কোনো কিছুর পরিমাণের কমবেশি সম্পর্কে তুলনামূলক ধারণা দেয়ার জন্য সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। উদাহরণত বলা যায় যে, আল কোরআনে একদিন এক হাজার বছর (৩২ : ০৫), অথবা পঞ্চাশ হাজার বছর (৭০:০৪)-এর সমান হতে পারে। আবার অন্যদিকে যে কাজ সম্পন্ন করতে বছরের পর বছর, বা মাসের পর মাস সময়ের প্রয়োজন তা চোখের পলকেÑ ‘আপনি আপনার স্থান থেকে ওঠার পূর্বে’ (২৭:৩৯) সংঘটিত হতে পারে। নভোম-ল ও পৃথিবীর সঠিক সংখ্যা একমাত্র আল্লাহপাকই অবগত আছেন। মহান আল্লাহ পৃথিবীসমূহকে জীবন ধারণের জন্য পরিমিত বাঁচার উপাদান (৪১:১০) দান করেছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে জীবন সৃষ্টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। সকল জীবনের উৎস হচ্ছে পানি। আল্লাহপাক প্রত্যেক জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন (২৪:৪৫)। প্রত্যেকটি প্রজাতি, উদ্ভিদ, প্রাণী (মানুষসহ) এবং অন্যান্য জীব যাদের সম্বন্ধে মানুষ জানে না, সবকিছুই আল্লাহ জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন, যাতে প্রজনন ক্রিয়া অব্যাহত থাকে। পবিত্র তিনি, যিনি জমিন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মতো মানুষকে, এবং যা তারা জানে না তার প্রত্যেককে, জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন (৩৬:৩৬)। প্রতি জোড়ার পুরুষ ও নারী একই জীবকোষ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তারপর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন যুগল-নর ও নারী (৭৫:৩৯)। সুতরাং নর ও নারী কারোরই একের ওপর অন্যের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করার কোনো অধিকার নেই। সকল মানুষকে এক অভিন্ন ছাঁচে পয়দা করা হয়েছে।
জাতি, ধর্ম অথবা বর্ণের দোহাই দিয়ে কোনো দুজন মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা যায় না। আর যায় না বলেই মহান রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেছেন : হে মানব জাতি! আমি তোমাদেরকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পর পরিচিত হও, নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক মর্যাদাবান, যে সবচেয়ে বেশি পরহেজগার (৪৯:১৩)। বস্তুত মানুষ সৃষ্টি ও তার মিশন কি এবং কেমন, তার স্বরূপ বিশ্লেষিত হয়েছে আকায়ে নামদার তাজদারে মদিনা পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র জীবনের সকল অঙ্গনে, সকল পরতে পরতে। তাই তো তাঁর নূরানী জীবন, রূহানী জীবন, দুনিয়ার জীবন, বরযখের জীবন এবং আখেরাতের জীবনের সর্বত্র সঠিক হেদায়েতের দীপ্ত শিখা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। (অসমাপ্ত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।