পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন জেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী নিহত এবং এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। নরসিংদী ও যশোরে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে এবং লালমনিরহাটে গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছিনতাইকারী ইদ্রিস মিয়া কুড়িগ্রামের, সন্ত্রাসী জাহিদ হাসান টোকন যশোরের এবং গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী জলিল লালমনিরহাটের বাসিন্দা। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট :
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরের ঝিকরগাছায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী টোকন (৩০) নিহত হয়েছে। শনিবার ভোরে ঝিকরগাছার কায়েমকোলা বাগমারা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আজিজুর রহমান জানান, ঝিকরগাছা থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী টোকনকে শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি পুলিশের সহযোগিতায় যশোর শহর থেকে আটক করা হয়। শনিবার ভোররাতে পুলিশ তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয়। টোকনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ তাকে নিয়ে কায়েমকোলা বাগমারা এলাকায় যায়। সেখানে টোকনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ শুরু করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে টোকন গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ কনস্টেবল শফিকুল ও মনিরুজ্জামান আহত হন। তাদেরকে ঝিকরগাছা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ৫টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৭টি মামলা রয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে জানান, নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইজিবাইক ছিনতাইকারী ও হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। নিহত আসামির নাম ইদ্রীস (২৮)। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহত ইদ্রীস মিয়া কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চানখাঁ গ্রামের আবদুর রশীদের ছেলে। গতকাল শনিবার ভোরে সদর উপজেলার মধ্য শিলমান্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহারিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল থেকে ইদ্রিসকে আটক করা হয়। আটকের পর ইদ্রীস গোয়েন্দা পুলিশের কাছে নয়টি হত্যাকাÐের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে এই চক্রের আরও সদস্যকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়।
এ সময় সদর উপজেলার মধ্য শিলমান্দী আব্দুল্লাহ ডাইংয়ের পাশে পৌঁছালে ইদ্রীসের সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গোয়েন্দা পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে ইদ্রীস গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশের পাল্টা আক্রমণে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, হাতীবান্ধা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার নাম আব্দুল জলিল (৪০)। শনিবার ভোরে গাওচুলকা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জলিল উপজেলার উত্তর গোতামারী গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে। হাতীবান্ধা থানার ওসি ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জলিলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।