Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে মাদক নিয়ন্ত্রণ অনস্বীকার্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বিশ্বনেতারা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজির) ১৭টি লক্ষ্য অর্জনে ১৬৯টি টার্গেট পূরণের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে, যার মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও মাদকাসক্তদের চিকিৎসা প্রদান অন্যতম। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতেও মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকাÐকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন অডিটরিয়ামে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে মাদক নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন। সেমিনার আয়োজন করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। বক্তারা বলেন, বিদ্যমান আইনের দূর্বল বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে অনেক পিছিয়ে রাখবে। কারণ, কার্যকর মাদক নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে এসডিজি’র তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা ‘স্বাস্থ্যসম্মত জীবনমান নিশ্চিতকরণ এবং সব বয়সের সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা’ সম্ভব নয়। আর এসডিজি’র অন্যান্য লক্ষমাত্রা অর্জনে মাদক একটা বড়ধরনের প্রতিবন্ধকতা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মাদক একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা আরো বলেন, এসডিজি’র তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিদ্যমান আইনের পর্যালোচনা ও দীর্ঘমেয়াদি মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মানসের সভাপতি প্রফেসর ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, মাদক চোরাচালানে পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হলো বাংলাদেশ। শতকরা ৬০ ভাগ মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা ও পূনর্বাসন) মো. মফিদুল ইসলাম বলেন, মাদক অন্যতম প্রধান সামাজিক সমস্যা। একটি সময় মাদককে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হতো। কিন্তু আশির দশক থেকে মাদকাসক্তি নিরাময়ের জন্য কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ২৭ হাজার প্রতিষ্ঠানে মাদকবিরোধী ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ, চাহিদা এবং ক্ষতি হ্রাস/ঝুঁকি হ্রাস তিনটি ক্ষেত্রেই কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত ২৩৪টি বেসরকারি মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রকে অধিদপ্তর লাইসেন্স দিয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউএনওডিসি বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এবিএম কামরুল আহসান এবং সিভিল সার্জন (ঢাকা) ডা. মো. এহ্সানুল করিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেল্থ সেক্টরের প্রধান ইকবাল মাসুদ। সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ড. খলিলুর রহমান।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ