Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোলে চাল আমদানিতে অচলাবস্থা বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বাজেটে চাল আমদানির ওপর শতকরা ২৮ ভাগ শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ায় বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পুরাতন কিছু এলসির চাল আমদানি হলেও নতুন করে কোনো এলসি ওপেন হচ্ছে না। আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২’শ থেকে ৩শ’ ট্রাক চাল আমদানি হতো; বর্তমানে কমে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ৩০ ট্রাকে।
পূর্বে চালের ওপর শুল্ক ছিল ২ শতাংশ, চলতি বাজেটে তা বৃদ্ধি করে ২৮ শতাংশ করা হয়েছে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে বাজারে কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে প্রতি কেজি চালে শুল্ক ছিল ৭০ পয়সা সেখানে এবারের বাজেটে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯ টাকা ৩৫ পয়সা। এ অবস্থায় চাল আমদানি বহুগুণ কমে গেছে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি দেশে চালের মূল্যও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় চাল তারমধ্যে অন্যতম।
কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার জাকির হোসেন জানান, আগে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মাসে ৫৫ থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হতো। শুল্ক বৃদ্ধির পর গত ১৭ দিনে চাল আমদানি হযেছে মাত্র সাড়ে ৫ হাজার মেট্্িরক টন।
আমদানিকারক মিজানুর রহমান জানান, শুল্ক আরোপের কারণে ব্যবসায়ীরা নতুন করে এলসি খুলছেন না। বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, নতুন বিবেচনায় চালের শুল্ক সরকার কমাবেন এই আশায় অনেকেই বন্দরে আসা চাল খালাশ করছেন না। বন্দরের পরিচালক আমিনুল ইাসলাম জানান, চালের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি কারায় ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডও ফাঁকা পড়ে আছে। ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা করছেন, চাল আমদানি ও রাজস্বের কথা বিবেচনা করে সরকার বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ