বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শরণখোলা উপজেলা সংবাদদাতা : মাত্র ১৭দিনের ব্যবধানে আবার আগুন লেগেছে সুন্দরবনে। পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ষ্টেশনের নাংলী টহল ফাঁড়ির পঁচা কোরালীয়া ও নাপিতখালী বিলের মধ্যবর্তী আব্দুল্লারছিলা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার গভীর রাতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা গতকাল বুধবার সকাল ৬টার দিকে বনের ভেতর থেকে ধোয়া উঠতে দেখে বনবিভাগকে জানায়। সকাল ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু হয়। এর আগে ২৭ মার্চ ওই একই স্টেশনের আওতাধীন সিকদারের ছিলা নামক স্থানে আগুন লেগে প্রায় ৫একর বনভূমির গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা) পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দাউ দাউ করে জ্বলছে বনভূমি। বেলা যত বাড়ছে আগুনের ভয়াবহতা ততোই তীব্র হচ্ছে। লোকালয় থেকে দেখা যাচ্ছে ধোয়ার কুণ্ডলী আর আগুনের শিখা। ভয়াবহ আগুনে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ একর বনের গাছপালা, নলখাগড়া ও লতাগুল্ম পুড়ে ছাই হয়েছে। মূল বনের সুন্দরী গাছে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে।
বনবিভাগ জানায়, সকাল ৯টা থেকে আগুন নেভানোর কাজে বনকর্মী ও শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের ৩-৪শ’ মানুষ কলস-বালতি নিয়ে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। দুপুর দুইটার দিকে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনা পৌঁছলেও কাছাকাছি পর্যাপ্ত পানির উৎস না থাকায় তারা কোনো কাজ করতে পারছেনা। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছেনা। ফায়ার লেন (নালা) কাটা হলেও তা অতিক্রম করে মূল বনে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন পূর্ব বনবিভাগ বাগেরহাটের ডিএফও মো. সাইদুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ বেলায়েত হোসেনসহ বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
প্রতিবছর ধানসাগর স্টেশনের বনে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে বন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগের আঙ্গুল বনবিভাগের দিকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর ও ধানসাগর এলাকার কয়েকটি অসাধু মৎস্য শিকারি চক্র প্রতিবছর বনে আগুন লাগিয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে তারা আগুন লাগিয়ে বন পরিষ্কার করে মাছের বিল তৈরি করে। বর্ষা এলেই শুরু হয় ওই চক্রের মাছ ধরার উৎসব। ধানসাগর স্টেশনের দায়িত্বে থাকা বন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই চক্রের কাছে মৌসুম ভিত্তিক অলিখিত ইজারা (লিজ) দেয় ওই বিলগুলো। কারেন্ট জাল পেতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হয়। প্রতি মৌসুমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হলেও সরকারের ঘরে একটি টাকাও রাজস্ব জমা পড়ে না। পকেট ভারি হয় কর্মকর্তাদের।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।