পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপিরচেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য মুলতবি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ১০ জুলাই পর্যন্ত খালেদার জামিন বৃদ্ধি করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসহ অধিকাংশ মামলায় খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। এ বিষয়টি আদালতে আমরা উপস্থাপন করেছি। এ ছাড়া তিনি অসুস্থ রয়েছেন উল্লেখ করে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দিয়েছে।
গতকাল বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধি করে ১০ জুলাই পরবর্তী সময়ে শুনানির দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া এ মামলার আসামি জিয়াউল হাসান মুন্নার সময়ের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়। ওই দিন যুক্তিতর্ক শুনানির জন্যও নতুন দিন ধার্য করা হয়। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে গত ৮ ফেব্রæয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। এ ছাড়া অর্থদন্ডও করা হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়া রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।