বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তিল ধরার ঠাই নেই বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে। ৩০ নারী সহ মাত্র ৬৩৩ ধারন ক্ষমতার এ কারাগারে এখন সাজাপ্রাপ্ত ও হাজতী আসামীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন, ১২শরও বেশী। ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীদের জন্য ১২টি ‘কন্ডেমড সেল’এ দীর্ঘদিন যাবত ৭৩ জন আসামী অমানবিক জীবন যাপন করছে। যার মধ্যে দুজন মহিলা। এসব ফাঁসির আসামীদের ডেথ রেফারেন্স এখনো উচ্চ আদালতে বিচারাধীন বলে জানা গেছে। ফলে দীর্ঘদিন যাবত বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রতিটি কন্ডেমড সেল-এ গড়ে ৬ জনেরও বেশী ফাঁসির আসামীকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এসব তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের। উপরন্তু আসন্ন সিটি নির্বাচনকে ‘নির্বিঘœ করতে’ আরো কত আসামীকে এ কারাগারে অন্তরীন করা হবে তা নিয়েও শংকা রয়েছে নানা মহলে। বছর শেষে জাতীয় নির্বাচনের আগেও একইভাবে কারাবন্দীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশংকা রয়েছে। তখন পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যাবে, তা নিয়েও শংকা রয়েছে নানা মহলে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারন ক্ষমতা বাড়ছে না। বর্তমানে এ কারাগারে ৬০৩ পুরুষ ৩০ নারী বন্দীর আবাসন সুবিধা রয়েছে। সেখানে অবস্থান করছে ১হাজার ২১৮জন সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন আসামী। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আবার বিনাশ্রমে দন্ডিত আসামীর সংখ্যা ৮১জন। যার মধ্যে ৯মহিলা সাজাপ্রাপ্ত আসামীও রয়েছে। এ কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীর ধারন ক্ষমতা মাত্র আড়াইশ হলেও তার প্রায় দ্বিগুন আসামী রয়েছে। তবে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ ও অমানবিক অবস্থায় রয়েছে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা। প্রতি ফাঁসির আসামীকে ‘মহা নিরাপত্তা বলয়’এ নির্দিষ্ট কন্ডেমড সেল-এ রাখার বিধান রয়েছে। কিন্তু বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ধরনের ১২টি সেল-এ দীর্ঘদিন ধরেই ৭৩ জন আসামী অবস্থান করছে। ফলে একজন আসামীর জন্য নির্দিষ্ট সেল-এ গড়ে ৬ জনেরও বেশী ফাঁসির আসামীকে থাকতে হচ্ছে। কারন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দুই মহিলাকে একটি সেল-এ রাখার পরে অবশিষ্ট ১১টি সেল-এ ৭১ জন পুরুষ দন্ডপ্রাপ্তকে রাখতে হচ্ছে। অথচ প্রতিটি কন্ডেমড সেল-এ একজন দন্ডিতকেই রাখার বিধান রয়েছে।
বর্তমানে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারের পদ শূণ্য রয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্বে থাকলেও তিনি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এসব বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের অন্য দায়িত্বশীল মহল কোন মন্তব্য করতে চাননি। তাদের মতে সার্বিক বিষয় সম্পর্কে কারা অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয় অবগত আছে । পাশাপাশি পরিস্থিতি উন্নয়নে কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সচেষ্ট রয়েছে বলেও জানান হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।