Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফের চরমপন্থীদের উত্থান

স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা: | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 পাবনায় আন্ডার ওয়ার্ল্ডের নিষিদ্ধ ঘোষিত দলগুলো ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জনমনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। জেলায় চরমপন্থীদলের অভয়ারণ্য হিসেবে সাাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া, তেবাড়িয়া, ক্ষেতুপাড়া, আতাইকুলার লক্ষীপুর, বেড়া উপজেলার ঢালারচর, আটঘরিয়া উপজেলার বড়ইচরা, একদন্ত এবং প্রত্যন্ত কয়েকটি গ্রামে এক সময় চরমপন্থীদলের উত্থান ঘটে। সর্বহারা, চরমপন্থীলাল পতাকা, জনযুদ্ধ , বাহিনী বিভিন্ন নামে মার্কসীয় দর্শনের আলোকে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে জনপদের নিরীহ দরিদ্র , দিনমজুরদের সংগঠিত করে চরমপন্থী বাহিনী গড়ে তোলা হয়। মার্কসীয় দর্শন কায়েম করতে গিয়ে এরা মানুষের জানামালের উপর হুমকী হয়ে ওঠে। এদের মধ্যে মার্কসীয় দর্শন সঠিকভাবে প্রোথিত না হওয়ায় এরা বিপথে পরিচালিত হয়। জনপদের মানুষের নিরাপত্তা বিঘিœত হয়ে পড়ে। আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এই সব নিষিদ্ধ ঘোষিত দলের মধ্যে পরষ্পর বিরোধী ধারা থাকায় তারা একে অপরের প্রতি প্রতিশোধ নিতে শুরু করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে অনেকেই নিহত হন। কমে আসে এদের দৌরাত্ম্য। আবার হঠাৎ করেই চরমপন্থীèদের উত্থান হচ্ছে। এরা প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছেন। আপাতত এই প্রতিশোধ নিজ দলের বিপক্ষ দল, নিজ দল ত্যাগীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য, 

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা থানার চরমপন্থি অধ্যুষিত তেবাড়িয়া বাজারে প্রকাশ্যে আব্দুল গফুর (৫৫) ও মুদি দোকানী ইদ্রিস আলী (৪২) নামের দুইজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গত রোববার বিকাল ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল গফুর আতাইকুলা থানার তেবাড়িয়া গ্রামের দবির উদ্দিনের পুত্র ও ইদ্রিস আলী গয়েশবাড়ী গ্রামের ময়েজ আলীর পুত্র। এদের মধ্যে আব্দুল গফুর সাবেক সেনা সদস্য ছিলেন। তিনি চরমপন্থি সংগঠন পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল লাল পতাকা)’র সাথে যোগ দিয়েছিলেন বলে এলাকায় জনশ্রæতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার ওসি মাসুদ রানা আজ মঙ্গলবার ইনকিলাবের এই রিপোর্টারকে মোবাইলে জানান, নিহত সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল গফুর চরপন্থী দলে যোগ দিয়েছিলেন বলে তার কাছে নিশ্চিত কোনও তথ্য নেই । তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। জড়িতদের গ্রেফতার এবং হত্যার মোটিভ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ