মীরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : নছিমন ভটভটি ব্যাটারী রিক্সার অবাধ চলাচলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকলেও দাপিয়ে চলছে বিআরটিএ’র অনুমোদনহীন এসব গাড়ি। মহাসড়ক কেন্দ্রিক উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও হাটবাজারে দুই শতাধিক নছিমন-করিমন ও শতাধিক ব্যাটারী রিক্সা চলাচল করছে।
জানা যায়, মীরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট পৌরসভার মহাসড়ক এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাটারী চালিত রিক্সা। চট্টগ্রাম থেকে তুলে দেয়া অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যাটারী রিক্সা এখন বারইয়াহাট-সোনাপাহাড়, মস্তাননগর মিঠাছরা এলাকাসহ আশেপাশের মহাসড়কেই পাল্লা দিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এসব অবৈধ গাড়ি আটক করছে না। অনেক সময় নছিমন করিমন ভটভটি মালামাল নিয়ে কখনো মানুষ নিয়েই চলাচল করছে মহাসড়কে। সিএনজি অটোরিকশা মহাসড়ক থেকে উঠে গেলেও বারইয়াহাট পৌরবাজারে মহাসড়কের উপরেই লাইন ধরে পার্কিং করা হয়েছে এসব গাড়ি।
এছাড়া আঞ্চলিক সড়কগুলোর মধ্যে বারইয়াহাট-রামগড় সড়ক, বারইয়াহাট-শান্তিরহাট সড়ক, মিঠাছড়া-বামনসুন্দর দারোগাহাট সড়ক, জোরারগঞ্জ-আবুরহাট সড়ক, জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক, নিজামপুর-ভোরেরবাজার সড়ক, বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়ক, বড়দারোগাহাট-কমরআলী সড়কে এসব গাড়ি অবাধে চলাচল করছে।
অভিযোগ রয়েছে, মাঝে-মধ্যে অভিযান চালিয়ে ভটভটি-নছিমন ও ব্যাটারী রিক্সা আটক করা হলেও আবার ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সোহেল সরকার জানান, আমরা বিভিন্ন সময় এসব ভটভটি বা রিক্সা পেলে চাকা খুলে ফেলি, পাম্প ছেড়ে দিই। মহাসড়কে দ্বিতীয়বার দেখলে গাড়ি আটক করা হবে জানিয়ে দেয়া হলেও এসব অনুমোদনহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, মহাসড়কের বারইয়াহাট ও মীরসরাই পৌরসভার ৪ কিলোমিটার অংশ আমাদের দায়িত্বে না থাকায় অভিযান পরিচালনা করতে পারিনা।