Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চেনা রূপে ফিরেছে সবুজ শিক্ষানগরী রাজশাহী

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৮, ১০:২৯ পিএম

রেজাউল করিম রাজু :তারুণ্যের উচ্ছাসে চেনা রুপে ফিরেছে সবুজ শিক্ষা নগরী রাজশাহী। ঈদ শেষে সবাই ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েটসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কারনে এখানে শিক্ষা লাভের জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসে লাখ দেড়েক শিক্ষার্থী। যাদের তারুণ্য ভরা পদচারণায় মুখরিত হয় ক্যাম্পাস, বিনোদন স্পট, বাণিজ্যিক কেন্দ্র আর ফাস্টফুডের দোকান গুলো। অনেক মহল্লায় এরা মুখরিত রাখে। এবার রমজানের শুরুতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি হয়ে যায়। ফলে আগেভাগেই ঘরে ফেরে নিজ শহর আর গ্রামে।
গ্রীস্মকালীন রমজান আর ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে ফের নিজ নিজ গন্তব্য ফেরা। এরপর চেনা ক্যাম্পাস, ছাত্রাবাস, বিনোদন কেন্দ্র আর চেনামুখ গুলোর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া। অথচ এরা চলে যাবার কারনে যেমন ফাঁকা হয়েছিল শিক্ষাঙ্গন। তেমনি ফাঁকা হয়েছিল নগরীর বিভিন্ন মহল্লায় গড়ে ওঠা ছাত্রাবাস আর ছাত্রীনিবাস গুলো। নগরীর বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের খুব একটা সামান্য অংশকে প্রতিষ্ঠান গুলোর ছাত্রাবাস আর ছাত্রীনিবাসে আবাসন দেয়া সম্ভব হয়। বাকীদের ঠিকানা ছাত্রাবাস-ছাত্রীনিবাস। এদের দিকে খেয়াল রেখে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসনস্থান।
এসব স্থানে রান্নাবান্না সহ ফুট ফরমাস খাটার জন্য অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। যার সংখ্যা কম নয়। শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ায় ওরা নি:সঙ্গ হয়ে পড়েছিল। অনেকের খাবার জুটতো এখান থেকে। কিছু বিড়ালও ছিল নিত্যসঙ্গী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজেই পড়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার শিক্ষার্থী। বাকী লাখ খানেক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এখানে। ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশেপাশে বাজারগুলোতে ব্যবসা বাণিজ্য ঝিমিয়ে পড়েছিল। ক্যাম্পাস খোলার পর ফের সরগরম। কাকডাকা সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকছে খাবার হোটেল গুলো।
শিক্ষার্থীদের পদচারনায় শিক্ষাঙ্গন জমে ওঠার সাথে সাথে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কাঁচা বাজারে। রমজানজুড়ে শাক স্বব্জির দাম বেশ কমছিল। এখন ওরা আসায় ফের চাহিদা বেড়েছে। বাড়ছে দাম। সবচেয়ে বেকায়দায় ছিল ডিম ব্যবসায়ীরা। ক্রেতার অভাবে তাদের ডিমের চাহিদা অনেক কমে গিয়েছিল। দামও কমে চলে যায় উৎপাদন খরচের নীচে। একটি ডিম বিক্রি হয়েছে চার টাকার কমে। কারন হিসাবে বলা হয়েছিল শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে প্রতিদিন ত্রিশ চল্লিশ হাজার ডিম খায়। ফলে চাহিদাও থাকে। ওরা চলে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা কমে গিয়ে সংকটে পড়ে।
এখন খুশি অটোরিক্সা, রিক্সাওয়ালারা। তাদের যাত্রী সংকট কাটতে শুরু করেছে। টোকাই, জুতো পালিশ ওয়ালা, বাদাম ওয়ালা, চটপটি, ফুচকা, বারোভাজা বিক্রেতা সবাই খুশি। বিশ্লেষন করলে দেখা যায় প্রকৃত অর্থে রাজশাহীর অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। এর ভিত্তি আরো মজবুত করতে প্রয়োজন সরকারী ভাবে শিক্ষানগরী হিসাবে ঘোষনা দিয়ে আরো কিছু বাস্তবমুখি পদক্ষেপ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ