Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটোল চাষে ঘুরছে ভাগ্যের চাকা

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৮, ১:১৬ এএম

মো. নজরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে : রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক মো. ছলেমান মোল্যা (৬০) পটল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পটল চাষ করে ঘুরেছে এ গ্রামের অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা।
প্রায় ৭/৮ বছর পূর্বে পরীক্ষামূলকভাবে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের কৃষক ছলেমান তার নিজস্ব ৫০ শতাংশ জমিতে শুরু করেন পটলের আবাদ। প্রথম বছরেই পান ব্যাপক সফলতা। চলতি মৌসুমেও সে তাই নিজস্ব ৫০ শতাংশ, বর্গা ৩০ শতাংশ জমির সবটুকুতেই করেন পটলের আবাদ।
কৃষক ছলেমান জানান, নিজস্ব ৫০ শতাংশ জমিতে কাজলা জাতের পটল চাষ করেছেন। এতে তার সব মিলেয়ে জমিতে পটলের আবাদে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা হলেও সকল খরচ বাদ দিয়েও বছর শেষে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা লাভ হবে তার। তার নিজস্ব ৫০শতাংশ জমি থেকে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন আড়াই মণ পটল তুলে বাজারে বিক্রি করেন। গত চৈত্র মাস থেকে চলতি আষাঢ় মাস পর্যন্ত কেজি প্রতি তিনি সর্বচ্চ ৪৫ টাকা থেকে ২০ টাকা কেজি দরে পায়কারি মূল্যে বিক্রি করেছেন।
সরজমিন পরিদর্শন কালে জানা গেছে, ছলেমান মোল্যার সাফল্য দেখে তার ছেলে জিয়াউর রহমান জমি বর্গা নিয়ে ৬০শতাংশ, এলাকার আমির উদ্দিন ৪০ শতাংশ, সালামত মোল্যা ৬০ শতাংশ, আলমগীর ৯০ শতাংশ জমিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন পটল চাষে।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন শেখ জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় এ বছর ২১০ হেক্টর জমিতে পটল চাষ হয়েছে। সেক্স ফেরোমন ট্রাপ ব্যবহার করে নিরাপদ সবজি উৎপাদন কৃষকের মাঝে বেশ সারা জাগিয়েছে কারন এতে কীটনাশকের ব্যবহার প্রায় অর্ধেক হ্রাস পেয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সর্বদা আধুনিক পদ্ধতিতে পটল উৎপাদন এবং পোকা, মাকড় ও রোগ দমনে আইপিএম পদ্ধতিসহ বিভিন্ন কার্যকর পরামর্শ প্র দান করে থাকে।
স্থানীয় কৃষক ওহেদ সরদার, ইসমাইল মন্ডল ও লোকমান বেপারী জানান, এলাকার কৃষক ছলেমান মোল্যা সার্বক্ষণিক তার পটল ক্ষেতে কাজ করেন। সময় মতো সেচ, সার প্রয়োগ করে তিনি এলাকার সবার চেয়ে ভালো ফলন পান। বাজারে তার পটলের কদরও একটু বেশি। আমরাও মনে করি, ছলেমান একজন স্বাবলম্বী কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এবং এ পটলের ন্যায্য মূল্য পেলে এ অঞ্চলে পটল চাষের পরিধি আরও বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ