Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুপচাঁচিয়ার ২ সেতু কোনো কাজেই আসে না

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ১০:৩৯ পিএম


দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মোঃ গোলাম ফারুক : দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের বন্দর তেমাথা নাগর নদী সংলগ্ন মড়া খাড়ীর ওপর নির্মিত সেতু ও তালোড়ার পশ্চিমে মাঠের মধ্যে শীশার খাড়ি নামক খালের উপর ফুট সেতু নির্মাণ হবার পরেও সেতু ২ টির মুখে সংযোগ সড়কসহ রাস্তা নির্মাণ না করায় তা জনগনের কোন কাজেই আসছে না।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্বাবধানে ত্রান ও পূর্ণবাসন অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ বন্দর তেমাথা থেকে থানা রোড সড়কটি বাইবাস সড়ক নির্মানের জন্য নাগর নদী সংলগ্ন মড়া খাড়ীর উপর প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ ফুট দৈঘ্য সেতুটি নির্মাণ করে। দীর্ঘ ১০ বছরেও সেতুটির দু’ধারে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি। এলাকাবাসীর অভিমত স¤পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে সংযোগ সড়ক ছাড়াই কিছু ব্যক্তির ব্যক্তি স্বার্থে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা সদরে প্রশাসনের নাকের ডগার উপর অপরিকল্পিতভাবে সেতুটি নির্মাণ করায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও সেতুটির মাত্র ২০ গজ পশ্চিমে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত একই খাড়ীর উপর আরও একটি সেতু থাকায় নির্মিত নতুন এই সেতু জনসাধারনের কোন কাজেই আসছে না। ফলে তা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সেতুটি পরিত্যাক্ত অবস্থায়ই পড়ে আছে। অপর দিকে উপজেলার তালোড়া পৌরসভার রেল স্টেশনের পশ্চিমে অদূরে তালোড়া-আলতাফনগর পাকা রাস্তার পাশ দিয়ে দক্ষিণে নাগর নদীর দিকে শীশার খাড়ি নামে একটি ছোট্ট খালের উপর স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর বগুড়ার আওতায় ২০০২ সালে ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে খাড়ির উপর সেতুটি নির্মাণ করেন। সেতুটি নির্মাণের সময় দু’পাশে কোন রাস্তাই ছিল না। দীর্ঘ ১৬ বছরেও রাস্তা নির্মাণ হয় নি। এমনকি সেতুর দু’পার্শ্বের সংযোগস্থল মাটি ভরাট না করায় সেতুটির জনগনের কোন কাজেই আসছে না। ফলে সেতুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় এটাও পড়ে রয়েছে। এ দিকে এলাকাবাসী সেতু দু’টির দু’পাশে রাস্তা নির্মাণ করে জনগন যাতে যাতায়াতের স্বাচ্ছন্দ সুবিধা ভোগ করতে পারে সে দিকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ