Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্মস্থলে ফেরার তাড়া ঠাঁই নেই কোথাও

| প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৮, ২:১৫ এএম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল,চান্দিনা থেকে : প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কাজের খাতিরে নিজনিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবিরা। নানা ভোগান্তি ছাপিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি গেলেও প্রিয়জনদের ছেড়ে কর্মস্থলে ফিরতে যেন মন চায় না বাড়ি ফেরা মানুষগুলোর। ঈদ শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মস্থলে ও বাসাবাড়িতে ফেরার জন্য শহরমুখী মানুষদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের প্রতিটি বাস স্টপেজগুলোতে। এ সময় ঈদযাত্রীদের বাসের জন্য দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ থেকে আসা আনোয়ার বলেন, অনেক কষ্ট করে কুমিল্লার ক্যন্টারমেন্ট বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার একটি বাসে উঠতে হয়েছে। বাসে উঠে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ঢাকা ফিরতে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে। কয়েকটা দিন অনেক ভালো কেটেছে। গ্রামে খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরা অনেক শান্তি। যার জন্য আসতেই মন চাচ্ছিল না অশান্তির এই শহরে। কুমিল্লার চান্দিনা থেকে আসা যাত্রী আলমগীর খান জানান, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারী ফার্মে চাকরি করেন। স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জন মিলে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিলেন। গতকাল তিনি চলে এসেছেন, এক সপ্তাহ পর স্ত্রী-সন্তানরা ঢাকায় যাবেন। স্ত্রী-সন্তানরাও বেশ খুশি। গ্রামের বাড়িতে সবাই মিলে আনন্দ করে ঈদ করতে পেরে।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, বাসের প্রতিটি ট্রিপে আসন পূর্ণ হয়ে যাত্রী আসছেন। সিট না পেয়ে অনেকেই ভেতরে দাঁড়িয়ে কোনোভাবে ঢাকায় আসছেন। বেশিরভাগ বাস অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় ফিরতি যাত্রী বহনের জন্য বিভিন্ন গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। এতে করে দ্বিগুণ হারে ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের থেকে। এমন অভিযোগ শুধুমাত্র বাসের ক্ষেত্রে। বাস মালিকরা বলছেন, খালি গাড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরতে হচ্ছে। তাই আসা যাওয়ার ভাড়া নিতে হচ্ছে। কুমিল্লার শাসনগাছা বাস টার্মিনালে বাসচালক জামাল বলেন, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে। তবে বড় ধরনের যানজটের দেখা মেলেনি। অনেকেই ছুটি নিয়ে গ্রামে অবস্থান করছেন। এছাড়া গার্মেন্টসহ শিল্প-কারখানাগুলো আরও দু’একদিন পরে খুলবে। এ কারণে সপ্তাহজুড়ে যাত্রী চাপ থাকবে। ঢাকামুখী যাত্রী চাপ থাকায় বাসগুলো ফাঁকা অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ^রোড থেকে আসা কামরুল বলেন, অফিসে যোগ দিতে সকালে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা করেছেন। তিনি বলেন, আসার পথেও গাড়ির টিকিট সংকট রয়েছে। সাধারণ সময়ের তুলনায় ভাড়াও ৫০-১০০ টাকা বেশি আদায় করছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই। তবে বাসচালক ও মালিকরা বলছেন, সর্বত্রই বোনাসের ব্যাপার আছে এখানে ৫০ টাকা বেশিকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখা উচিত না। এদিকে একইভাবে যাত্রীদের ভিড় ছিল কুমিল্লা রেল স্টেশনে। কুমিল্লার রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন এসে থামার সঙ্গে সঙ্গে মানুষে ভরে যায় স্টেশন প্ল্যাটফর্ম। দাঁড়িয়ে, ছাদে, সিটে বসে যে যেভাবে পারছে মানুষ ফিরছে। যাত্রীর এই চাপ সোমবার পর্যন্ত থাকবে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার। তিনি বলেন, ট্রেন যথাসময়ে এসে পৌঁছাচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীদেরও তেমন কোনো অভিযোগ নেই। গতকালের চেয়ে আজকে যাত্রী চাপ একটু বেশি। সব মিলিয়ে যাত্রীরা নির্বিঘেœ ফিরে আসতে পারছে এটাই বড় বিষয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ