পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ঈদের পরপরই ভোগ্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-৭ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতের বাজারে দরবৃদ্ধি ও ঈদের ছুটিতে আমদানিতে বিঘœ হওয়ার কারণেই দেশের বাজারে দাম বাড়ছে পণ্যটির।
খাতুনগঞ্জে কাঁচাপণ্যের আড়তগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মধ্যে বাজারে বর্তমানে শুধু নাসিক জাতের পেঁয়াজ রয়েছে। এর মধ্যে নাসিকের ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫-২৬ টাকায়। এছাড়া কেজিপ্রতি মাঝারি মানের পেঁয়াজ ২৩-২৪ টাকা ও ছোট আকারের নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২২ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ রোজার শেষদিকে ঈদের বাজারেও প্রতি কেজি ভালো মানের নাসিক পেঁয়াজ ১৮-১৯ টাকা এবং মাঝারি ও ছোট আকারের পেঁয়াজ ১৫-১৭ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছে। সে হিসেবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত।
দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী লোকমান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ লোকমান বলেন, ভারতের বাজারে গত এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া ঈদের ছুটিতে পণ্যটির আমদানিতে বিঘœ ঘটেছে। তাই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কিছুটা কম। ফলে পণ্যটির দাম হঠাৎ একদফা বেড়েছে। রোজার আগে পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিলেও পরে পণ্যটির বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতের বাজারে দাম বাড়ার কারণেই দেশটি থেকে পণ্যটির আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৫০-৬০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৫-৩০ ট্রাকে। স্থানীয় আরেক ব্যবসায়ী রতন বড়ুয়া বলেন, দেশে পেঁয়াজের পুরো বাজার নির্ভর করছে ভারত থেকে আমদানির ওপর। রোজার শুরুতে বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়ায় এক মাস ধরে পণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। ফলে এই এক মাস পণ্যটির দাম পড়তির দিকে থাকে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে ভারতের বাজারে পণ্যটির দাম আবার বাড়তে শুরু করে। এতে আমদানি কমে গিয়ে দেশের বাজারেও দাম কিছুটা বেড়ে যায়।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ বলেন, খাতুনগঞ্জে দেশী পেঁয়াজের চাহিদা ও সরবরাহ নেই বললেই চলে। তাই খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে আমদানিকৃত বিশেষ করে ভারতীয় পেঁয়াজের দামের ওপর। সম্প্রতি সেখানে পণ্যটির দরবৃদ্ধি ঘটায় ও ঈদের ছুটির প্রভাবেই এখানকার বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। ভারতে রাজ্যগুলোয় সাধারণত মৌসুমভেদে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ দেখা যায়। বাজারে এত দিন নাসিক, পাটনা, কানপুরি ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজের সরবরাহ ছিল। বর্তমানে বাজারে শুধু নাসিক জাতের পেঁয়াজ রয়েছে। তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধি ঘটেছে পাইকারির চেয়েও বেশি। জানা গেছে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও মুদিদোকানগুলোয় বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা দামে, যা এক সপ্তাহ আগেও সর্বোচ্চ ২০-২২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসেবে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে প্রায় ৮-১০ টাকা বেড়েছে। অথচ একই সময়ে পাইকারিতে দাম বেড়েছে কেজিতে সর্বোচ্চ ৫-৭ টাকা।
এ বিষয়ে ক্যাবের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীরা পণ্যের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন সংকট ও সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। চাহিদা স্বাভাবিক থাকার পরও ভারতীয় বাজারের পণ্যের দাম বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম বাড়িয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।