পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক পেতে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৫জন। এর মধ্যে বরিশালে ৮জন, সিলেটে ৬জন এবং রাজশাহীতে একজন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে বর্তমান তিন মেয়র রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বরিশালে আহসান হাবীব কামাল ও সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরীও রয়েছেন। গতকাল (বুধবার) সকাল থেকেই ১০ হাজার টাকায় সিটি নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে দলটি। সকাল ১০টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছ থেকে প্রথম মনোনয়ন ফরম কিনেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এরপর রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও বরিশালের মেয়র আহসান হাবীব কামালের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়া মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সহ-সভাপতি ও প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর নেতা ছালাহউদ্দিন রিমন ও হাজী আবদুল কাইয়ুম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বরিশালে আহসান হাবীব কামাল ছাড়াও দক্ষিণ জেলা সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক ছাত্রদল নেতা আলী হায়দার বাবু, জিয়াউদ্দিন শিকদার ও আবুল কালাম শাহিন। অন্যদিকে রাজশাহীতে কেবল মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সর্ব সম্মতিক্রমে রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলই মেয়র পতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আরও দু’একজন আগ্রহী থাকলেও সকলে বুলবুলের ওপরই আস্থা রাখছেন।এতে দলের জন্যও ভাল হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীদের ফরম পূরণ করে আজ বিকেল ৪টার মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি। মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা।
মনোনয়ন ফরম বিতরণের পর রুহুল কবির রিজভী বলেন, সিটি নির্বাচনকে নিয়ে সরকার কি করছে সেটা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেখার পরে আমরা সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। তবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা মনোনয়ন ফরম বিক্রি, জমাদান ও সাক্ষাৎকারের কাজগুলো আমরা সম্পন্ন করে রাখব। তিনি জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়ে প্রার্থীরা জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকার প্রদান করবে। সাক্ষাতকার শেষে দল চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, আসাদুল করীম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জুলাই পর্যন্ত। ২০১৩ সালে একই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই তিন সিটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজিত করে মেয়র পদে নির্বাচিত হন বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা।
২০ দলের একক প্রার্থী: রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আগামী ২৭ জুন জোটের পরবর্তী বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা। আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে প্রচারণায় নামবে জোটের সকল নেতারা। গতকাল (বুধবার) সকাল ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে জোটনেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়। বৈঠকে জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক ডেপুটি মেয়র খালেকুজ্জামান চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। পবিত্র রমজানে ও ঈদের ছুটিতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান জোট নেতারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জোটের এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তোফা ভুইয়া, জাগপা সভাপতি রেহেনা প্রধান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, বিএমএল সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, লেবার পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, (অপরাংশ) মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, পিপলস্ লীগ মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, ইসলামীক ঐক্যজোট চেয়ারম্যান এডভোকেট এম এ রাকিব।######
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।