Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে যারা মানুষের ক্ষতি করে তাদের চিহ্নিত করুন -শিক্ষামন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম


বিয়ানীবাজার (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা: কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় বিয়ানীবাজারে এই নদী ঘেষা এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে সুনাই নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। একদিকে পানি বৃদ্ধি ও অন্যদিকে পানি কমে যাওয়ায় বন্যা উপদ্রæত মানুষের মধ্যে বাড়ছে দুর্ভোগ। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহী নানা রোগ। এদিকে গত সোমবার ও মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিয়ানীবাজারের বন্যা কবলিত বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখেন এবং বন্যা দুর্গত মানুষের খোঁজ খবর নেন।
গেল বুধবার হঠাৎ করে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বিয়ানীবাজার পৌরসভাসহ ৪টি ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী ঘেষা বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এবং কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যেই উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ার বাজার আর বিয়ানীবাজার পৌরসভা অনেক গ্রাম এবং সুরমা ও সুনাই নদীর পানিতে চারখাই ও লাউতা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় হাঠ বাজার, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা। পানি বন্দি হয়ে পড়েন উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা ও সুনাই নদীর পানি বেড়েছে । উপদ্রæত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। লোকজন দুর্ভোগ আর দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার ও মঙ্গলবার বিয়ানীবাজারর উপজেলার বন্যা উপদ্রæত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন। এর ফাকে মন্ত্রী কথা কলেন সাংবাদিকদের সাথে । তিনি বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি কতিপয় সুবিধাভোগী মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কেটে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে দিচ্ছে। তিনি এসব দুস্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাছিব মনিয়া, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজি আরিফুর রহমানসহ আরো অনেকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুরমা-কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১০৫ থেকে ১১৫ সেন্টমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষামন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ