Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাঙামাটি ও মৌলভীবাজারে নতুন করে ভাঙন

প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৩৮ এএম, ২০ জুন, ২০১৮

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে রাঙামাটির রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, ফসলী জমি ও বাড়ী ঘর ভেঙে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় শতকোটি টাকার অধিক। মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীর বাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে জানান, প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বাঘাইছড়ির করেঙ্গাতলী, বঙ্গলতলী, বারিবিন্দু ঘাট, বাঘাইছড়ি সদর, দুরছড়িসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, ফসলী জমি ও বাড়ী ঘরে ভেঙে নিয়ে গেছে বন্যার পানির তোড়ে। বন্যায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন সেক্টরে প্রায় শতকোটি টাকারও অধিক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানির তোরে বাঘাইছড়ি উপজেলায় প্রাণ হারিয়েছে দুইজন। গৃহপালিত গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী সহ গবাদী পশু বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ার কথা বলে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা। গত ১৭ জুন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করতে গেলে তার কাছে এমনটাই বর্ননা করেন স্থানীয় লোকজন। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলায় এবছরের বন্যায় মরাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে উপজেলা প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার প্রায় ২ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বাঘাইছড়িতে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে চলমান বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ পানির তোরে ভেসে গেছে। এই প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন করতে আমাদেরকে নতুন করে চিন্তা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, কাচালং নদী নয় রাঙ্গামাটি জেলার চেঙ্গী, মাইনী, কর্ণফুলীসহ বেশ কয়েকটি নদী খননের প্রয়োজন। তিনি বলেন নদী ড্রেজিং এর বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে। তিনিও এই নদী গুলো ড্রেজিং করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তবে কবে না নাগাদ এই নদী ড্রেজিং কাজ শুরু হবে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। নদী গুলো খনন করা না হলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। এরকম বন্যায় বারবার হবে এবং সাধারণ মানুষ কষ্ট পাবে।
মৌলভীবাজার জেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রাজনগর উপজেলার কালাইরগুল এলাকায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে মনু প্রকল্পের ভেতর রাজনগরের উত্তরবাগ, ফতেহপুর ইউনিয়ন পুরোটাই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ওই সব এলাকা তলিয়ে বন্যা পানি কাউয়াদিঘি হাওরসহ আশপাশ এলাকায় প্রবেশ করছে। নতুন করে ভাঙনে ফলে রাজনগরে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। তবে মৌলভীবাজার পৌরসভা ও সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মনু নদীর পানি মৌলভীবাজার শহরের কাছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার বাড়ি-ঘর ও রাস্তা ঘাট তলিয়ে রয়েছে। সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের হামরকোনা এলাকায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে তিনটি গ্রাম ও ও মনুমুখ ইউনিয়নের ২টি তলিয়ে রয়েছে। মৌলভীবাজারে বন্যার্তদের সকল প্রকার সহযোগীতার আশ্বাস দেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বন্যা দূর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কালে দূর্যোগ মোকাবেলায় নিজ মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
কমলগঞ্জের ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের দূর্গত এলাকা পরিদর্শণ করেন ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: ফয়জুর রহমান। সচিব সরেজমিন দূর্গত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে সাড়ে ৪ হাজার দূর্গত মানুষের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে অতিরিক্ত সচিবকে নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক কমলগঞ্জের নি¤œাঞ্চল পতনউষার ইউনিয়ন পরিদর্শণ করে আহমদনগর দাখিল মাদরাসা আশ্রয় কেন্দ্রে আগত ৭শ’ মানুষের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ কর্মসুচী উদ্বোধন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙন

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ