Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন মোশাররফ : ছাত্রদল নেতা নিহত

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল ও মোহাম্মদ আলী, কুমিল্লা থেকে : গাড়ী বহর নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার নিজ নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন। তবে গাড়িবহরে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত গাড়ি অক্ষত এবং মোশাররফ হোসেন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বলে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি দৈনিক ইনকিলাবের কাছে নিশ্চিত করেন। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের ধাক্কায় জুয়েল (২০) নামের একজন ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জনযাত্রী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতরা সবাই মোশাররফ হোসেনের গাড়িবহরে ছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শী আমিরাবাদ এলাকার আলমগীর হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমিরাবাদ ইউটার্নে ঢাকামুখী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে এসে বহরের তিনটি মাইক্রোবাস ও দাঁড়িয়ে থাকা দুটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে চতুর্মুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে রায়হান নামে পৌর ছাত্রদল নেতা নিহত হন। নিহত জুয়েল (২০) দাউদকান্দি উপজেলার দোনারচর গ্রামের মৃত ছাদেক মিয়া প্রধানের ছেলে। জুয়েল এ বছর দাউদকান্দি উপজেলার হাসানপুর শহীদ নজরুল সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এদিকে আহতদের গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার পর কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা বিএনপি ও যুবদল সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। নয়টি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার যোগে যাচ্ছিলেন তারা। আমিরাবাদ নামক স্থানে পৌঁছালে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস দ্রæত গতিতে এসে বহরের চারটি গাড়ি ও মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের আরোহী ছাত্রদল নেতা জুয়েল নিহত হন। আহত হন ১২ নেতা-কর্মী। আহতদের মধ্যে জাহিদ হোসেন, ছাব্বির হোসেন, রিফাত হোসেন, আল-আমিন, দেলোয়ার হোসেন, ইমরান হোসেন ও মাজহারুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা পগু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হৃদয় মিয়া, আশিক সরকার, রাকিব হোসেন, ইমদাদুল হক ও চিত্ত রঞ্জন দাসকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জালাল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকায় প্রেরণকৃত আহত সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক আছে। অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে হাইওয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দীন দিদার বলেন, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নিজ এলাকার একটি ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন। তার সঙ্গে বেশ কয়েকটি গাড়ি ছিল। যে মাইক্রোবাসে জুয়েল মিয়া ছিলেন সেই গাড়িটিকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রামগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জুয়েল। দুর্ঘটনায় বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। তিনি এখন নিরাপদে আছেন। ঘটনার পর হতাহতদের দেখতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। পরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে জুয়েল মিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ