Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যারা ডাইক কেটে মানুষের ক্ষতি করে তাদের চিহ্নিত করুন -শিক্ষামন্ত্রী

এম.হাসানুল হক উজ্জ্বল, বিয়ানীবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৮, ১০:০২ পিএম

কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমে যাওয়ায় বিয়ানীবাজারে এই নদী ঘেঁষা এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। তবে সুনাই নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। একদিকে পানি বৃদ্ধি ও অন্যদিকে পানি কমে যাওয়ায় বন্যা উপদ্রুত মানুষের মধ্যে বাড়ছে দুর্ভোগ। অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহী নানা রোগ। এদিকে সোমবার ও মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিয়ানীবাজারের বন্যা কবলিত বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখেন এবং বন্যা দুর্গত মানুষের খোঁজ খবর নেন।
গেল বুধবার হঠাৎ করে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিয়ানীবাজার পৌরসভাসহ ৪টি ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী ঘেঁষা বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এবং কয়েকটি স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যেই উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ার বাজার আর বিয়ানীবাজার পৌরসভা অনেক গ্রাম এবং সুরমা ও সুনাই নদীর পানিতে চারখাই ও লাউতা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় হাট বাজার, স্কুল কলেজ, মসজিদ মাদ্রাসা। পানি বন্দি হয়ে পড়েন উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও সুরমা ও সুনাই নদীর পানি বেড়েছে । উপদ্রুত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। লোকজন দুর্ভোগ আর দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজি আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, প্রশাসনের হিসেব মতে বিয়ানীবাজারের ৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মাত্র ৩ হাজার মানুষ পানি বন্দি রয়েছেন আর তাদের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে । এদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার ও মঙ্গলবার বিয়ানীবাজারর উপজেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। এর ফাকে মন্ত্রী কথা কল্যাণ সাংবাদিকদের সাথে ।তিনি বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি কতিপয় সুবিধাভোগী মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে দিচ্ছে। তিনি এসব দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করার জন্য জনগণের প্রতি আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাছিব মনিয়া, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র আব্দুস শুকুর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজি আরিফুর রহমানসহ আরো অনেকে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুরমা-কুশিয়ারা ও সুনাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১০৫ থেকে ১১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে।



 

Show all comments
  • Muhammad ১৯ জুন, ২০১৮, ১১:৪৪ পিএম says : 0
    Thank you our adu : minis : we are living near surma river . The dam cut the mans of natessor village in eny flud sesone .now they are do it .please kindly cencel it disturb the dam way argently our problim by your order.noagram +sikar pur.2no.carkae.up.biani bajar.sylhet.bd. eny এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষামন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ