Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে মায়ের কোল থেকে নিয়ে শিশু খুন তদন্তে নেমেছে পিবিআই

| প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ৯ মাসের শিশুকে পানিভর্তি বালতিতে চুবিয়ে মারার সাথে জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। পুলিশ বলছে, নির্মম ও নিষ্ঠুর এ ঘটনা রহস্যে ঘেরা। জড়িতদের ধরতে চলছে অভিযান। ১৫ জুন বিকেলে নগরীর পতেঙ্গা থানার সতীশ বাবু লেইনের একটি বাসায় ঘটে এ নৃশংস হত্যাকাÐ। শিশুটির নাম নিঝুম মিত্র তরী। তার বাবা রিপন মিত্র একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। স্ত্রী চম্পা মিত্র এবং রুপু মিত্র নামে ছয় বছরের এক মেয়ে নিয়ে তিনি ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।
রিপন মিত্রের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রিপন সাতকানিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। বাসায় ছিলেন শুধু স্ত্রী ও দুই মেয়ে। তাদের বাসায় নিকটাত্মীয় আরও দুই যুবক থাকেন। তারাও কাজের জন্য বাসার বাইরে ছিলেন। বিকেলে স্ত্রী চম্পা মেয়েদের নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় কলিংবেল শুনে তিনি দরজা খুলে দেন। দুজন যুবক ঘরে ঢুকেই তাকে ঘিরে ধরে। একজন তার মেয়ে তরীকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে বাথরুমে নিয়ে যায়। অন্যজন তার গলায় ছোরা ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর বাথরুম থেকে বের হয়ে ওই যুবকসহ দুজন মিলে তার স্ত্রীকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এসময় তার হাত থেকে সোনার আংটি খুলে দেয়। আবার চাবি কেড়ে নিয়ে আলমিরা ড্রয়ার খুলে ২০ হাজার টাকা নিয়ে যুবকরা চলে যায়।
তারা বের হয়ে গেলে চম্পা বাথরুমে গিয়ে দেখেন, তরী বালতির ভেতরে পানিতে উপুড় হয়ে আছে। তাকে কোলে নেওয়ার পর চম্পা বুঝতে পারেন, মেয়ে আর বেঁচে নেই। তখন চম্পা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে প্রতিবেশি কয়েকজন তাদের বাসায় ঢুকে বিষয়টি দেখতে পেয়ে রিপনকে ফোন করেন। ঘটনা শুনে রিপন দ্রæত বাসায় আসেন। দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে পরদিন রিপন মিত্র বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুই যুবককে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি তদন্ত এবং জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে পতেঙ্গা থানা ও পিবিআই।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, যে বাসায় হত্যাকাÐ হয়েছে, এর আশপাশে ৪০টি ফ্ল্যাট আছে। দিনের বেলায় দুইজন যুবক ঢুকে সোনার আংটি-টাকা নিয়ে এবং মেয়েকে খুন করে পালিয়ে গেল, কেউই কিছু জানতে পারল না। কোন চিৎকার, চেঁচামেচিও হল না। আবার যে ড্রয়ার থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে, তার পাশের ড্রয়ারে আমরা চার লাখ টাকা পেয়েছি। সেই টাকাও নিল না। তাহলে কি তারা শুধু খুনের জন্যই বাসায় ঢুকেছিল। বিষয়টা আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চট্টগ্রাম মেট্রো) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি খুবই নির্মম। থানার পাশাপাশি আমরাও তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি দ্রæত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ