বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী ব্যুরো : ক’দিন ধরে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ হাঁসফাস করছে। প্রানীকুলের জীবনও ওষ্ঠাগত। পুড়ছে প্রকৃতি শাকস্বব্জির ক্ষেত। চারিদিকে দমবন্ধকর অবস্থা। ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রকৃতি নীরব। গাছের পাতাও নড়ছেনা। ঈদের আগের দিন শুক্রবার থেকে তাপের তেজ যেন বাড়তে থাকে। শেষ মুহুর্তের ঈদের কেনাকাটায় মানুষ পড়ে বিপাকে। এদিন তাপমাত্রা চড়ে যায় ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এরপর অর্থাৎ ঈদের দিন সামান্য কমে দাড়ায় ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়সে। এরমধ্যে মানুষ ঈদ উদযাপন করে। মানুষকে বেশীর ভাগ সময় ঘরের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। গরম থেকে রক্ষার জন্য ভরসা ফ্যান থাকলেও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না থাকায় তা স্বস্তি আনতে পারেনি। সন্ধ্যার পর মানুষজন ঘরের বাইরে আসতে থাকে। ভীড় জমে পদ্মার তীরে। তাপাদহ ছন্দপতন ঘটিয়েছে ঈদ আনন্দে। সবচেয়ে বেশী কষ্ট অনুভব করে টিনের ঘরে বসবাসকারীরা। তাপ যেন টিন চুইয়ে নামতে থাকে। বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী মানুষের অবস্থা আরো কাহিল। মরা পদ্মায় বুকজুড়ে মাইলের পর মাইল বিশাল বালিচর। যেন ফুটন্ত বালির কড়াই। সেখান থেকে উত্তাপ ছুটে এসে আঘাত হানছে। বাড়ির ছাদের পানির ট্যাংকীর পানিও ফুটছে। এক দুর্বিসহ অবস্থা। পশু পাখির অবস্থা কাহিল। বিশেষ করে মুরগীর খামারীদের। বড় বড় ফ্যান লাগিয়ে বাতাস দেবার চেষ্টা করছে। সাহেব বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী ইব্রহিম জানান, চাঁদরাতের দিন বিক্রির জন্য আনা তার অর্ধশত মুরগী মারা গেছে গরমের কারনে। ব্রয়লার ও সোনালী মুরগী মরেছে বেশী। এমন ক্ষতি অনেকের হয়েছে। প্রচন্ড গরমে শাকস্বব্জির ক্ষেত নুইয়ে পড়েছে। বিশেষ করে পটল, ঝিঙ্গে, শসা, লাউ, কুমড়ো আর বিভিন্ন ধরনের শাক। গরমের কারনে ক্ষতির মুখে পড়েছে আম চাষীরা। তাপের তীব্রতা সইতে না পেরে টুপটাপ করে ঝরে পড়ছে পাকা আম। ক্রেতা নেই বলে তারা আম নামাতে পারছেনা। বাগান গুলোর নীচে পাকা আম আর পচা আমের ছড়াছড়ি। পাকা আম পড়ে ফেটে যাচ্ছে। চাষীরা জানালেন এসময়ের এমন আবহাওয়া তাদের লোকসানের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। গত রবিবার দিনভর তাপাদহের পর হঠাৎ সন্ধ্যার একটু আগদিয়ে দক্ষিন পশ্চিম দিক থেকে কালো মেঘের সাথে বাতাসের ঝাপটার পর এক পশলা বৃষ্টি নামে। মেঘ দেখে মানুষ আশায় ছিল এই বুঝি রহমতের বৃষ্টি নামল। আষাঢ়ের বর্ষন হবে। কিন্তু মাত্র দুই দশমিক দুই মিলিমিটার বৃষ্টি ঝারিয়ে মেঘ উধাও হয়ে যায়। এতে গরম আরো বাড়িয়ে দেয়। মাটি আর ভবনগুলো যেন তপ্ত নি:স্বাস ছাড়ছে। গতকালও তাপমাত্রা ছিল একই রকমের। সকালের সূর্যটা উঠছে যেন আগুনের হুল্কা নিয়ে। বেলা যত বাড়ছে তত উত্তপ্ত হচ্ছে। এবার বৈশাখে জ্যেষ্ঠ এসে প্রচুর বৃষ্টি ঝরালেও আষাঢ়ে এসে বৃষ্টি উধাও। আবহাওয়ার এমন রকম ফেরে প্রভাব পড়ছে সর্বক্ষেত্রে। আবহাওয়া অফিস বলছে এমন অবসআথা চলতে পারে আরো কটাদিন। এ অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।