পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রফিকুল ইসলাম সেলিম : ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের আড়ালে চট্টগ্রামে নেতাদের ব্যাপক গণসংযোগের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচনের বছর হওয়ায় এবার রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঈদ উৎসবে যোগ হচ্ছে ভিন্ন মাত্রা। দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের ভুরিভোজনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে যেতে নানা কর্মসূচি নিচ্ছেন বড় দুই দলের নেতারা। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সাবেক মন্ত্রী, এমপি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজ নিজ এলাকায় আসছেন। তারা নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। মহানগরীসহ জেলার অনেক এলাকায় এখন দুর্যোগ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। টানা বর্ষণ, পাহাড়ী ঢল ও জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। এই সুযোগে এসব দুর্গত মানুষের পাশেও যাবেন নেতারা।
চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা অনেক আগেই মাঠে নেমে গেছেন। চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ায় বিএনপি শিবিরে কিছুটা হতাশা বিরাজ করছে। তবে নির্বাচনী মাঠে তারাও সরব। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে বিশ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারাও নিজ নিজ এলাকায় নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২২টি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের মনোনয়ন দৌঁড়ে আছেন শতাধিক নেতা। ঈদের উৎসবে তারা ব্যাপক গণসংযোগের মাধ্যেমে নিজেদের তুলে ধরবেন ভোটারদের কাছে।
মাহে রমজানের শুরুতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী বিতরণ করছেন। বিলি করছেন যাকাত ফিতরা, করছেন দান সদকা। কেউ কেউ আবার সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে রমজানের ভোগ্যপণ্যও বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। এলাকার দরিদ্র মানুষের সাহায্যের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে সম্প্রীতি বাড়াতে ব্যাপকহারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি সমমনা বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলেও শরিক হয়েছেন নেতারা।
জোট মহাজোটের বন্ধন শক্ত করতে শরিক দলগুলোর ইফতারেও হাজির হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা। কর্মীদের নিজের পক্ষে টানতে অনেকে এখন ঈদ উপহার দিচ্ছেন। জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্নিল ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে শহর থেকে গ্রাম। প্রতিবছর ঈদে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের বাসা বাড়িতে গণভোজের আয়োজন করেন। গরু জবাই করে দেওয়া হয় মেজবান। ঈদের দিন থেকে শুরু করে টানা কয়েক দিন চলে খানাপিনার আয়োজন। এবার এই আয়োজন আরও বড়সড় হবে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এবার ব্যাপকহারে নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা এবার নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চেয়াপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, রোজি কবির, এস এম ফজলুল হকসহ সাবেক মন্ত্রী এমপিসহ দলের নেতারা নিজ নিজ এলাকায় আসছেন। তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদের নামাজ আদায়সহ নানা কর্মসূচিতে শরিক হবেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দীন আহমদ বাবলু, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মুহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতিক, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের নেতা মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চট্টগ্রামে তাদের নির্বাচনে এলাকায় ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর এই সুযোগে তারা জনগণের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।