পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেষ কার্যদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রে সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অনেকেই ছুটি নিয়ে ঘরমুখো হয়েছে। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হওয়ার কারণে সচিবালয় দুপুর ১২টার আগেই অনেকটাই ফাঁকা এবং অনেকটা ছিল কর্মচাঞ্চল্যহীন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অফিস খোলার পর অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী হাজিরা দিয়েই ঈদ করতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। ঈদুল ফিতরের আগে শেষ কর্মদিবসে ছুটির আমেজে কাটছে সরকারি অফিস। শবে কদরের ছুটির পর ঈদের বন্ধের মধ্যে একদিন অফিস থাকায় অনেকে মঙ্গলবারই ছুটি নিয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রামের বাড়িতে ছুটেছেন নাড়ির টানে। কেউ কেউ গতকাল বৃহস্পতিবার হাজিরা দিয়েই বাড়ি ফিরতে ছুটছেন রেলস্টেশন, বাসস্টেশন কিংবা লঞ্চঘাটের দিকে। সচিবালয় থেকে বের হওয়ার গেটগুলোকে দুপুরের দিকে কয়েক দফা অবস্থান করে দেখা গেছে অনেকে হাতব্যাগ, লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কেউ কেউ আবার মন্ত্রণালয়ের গাড়িতে করে বেরিয়ে যান।
আজ শুক্রবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এক্ষেত্রে শুক্র, শনি ও রোববার সরকারি ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে আগামী রোববার। সেক্ষেত্রে একদিন বেড়ে সোমবারও সরকারি ছুটি থাকবে। আগামী শনিবার ঈদ হলে সরকারি চাকুরেদের ঈদের ছুটির দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে চলে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে তারা ঈদের ছুটি পাচ্ছেন মাত্র একদিন।
সচিবালয়ে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, প্রাখমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি খুবই কম। কোনো কর্মচাঞ্চল্য নেই। অনেক কক্ষই খালি পড়ে আছে। কোনো কক্ষে তিন থেকে চারজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বসলে সেখানে দেখা গেছে একজন বা দু’জন বসে আছেন। বাকিরা চলে গেছেন। শুধু সরকারি কর্মকর্তারাই নয়, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বেশিরভাগই কয়েক দিন আগে নিজের এলাকায় চলে গেছেন। মন্ত্রীদের অনুপস্থিতে মন্ত্রণালয় গুলোতেও কাজে ঢিমেতাল লক্ষ্য করা গেছে। জাতীয় নির্বাচনের বছর রোজার ঈদকে সামনে রেখে তারা নিজেদের এলাকায় বাড়তি সময় দিচ্ছেন এবং এলাকায় ঈদ করবেন বলে জানা গেছে।
একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করে বলেন, ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে একটু ছাড় দিতে হয়। ছুটি ছাড়াও অনেকে আজ হাজিরা দিয়ে চলে গেছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ঈদের ছুটি শুরুর আগের দিন হওয়ায় বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশেরও কম। সাধারণত ঈদের সময় তিন দিন ছুটির সঙ্গে আরো দুই-এক দিন মিলিয়ে অনেকেই পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। যারা অফিস করছেন তারা অনেকে ব্যস্ত ছিলেন ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা বিনিময়ে। সচিবালয়ের সবগুলো ভবনের লিফটের সামনের অন্যান্য দিনের মতো মানুষের ভিড় ছিল না। লিফট অপারেটরদের সচিবালয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঈদের বখশিস আদায়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এদিকে গতকাল সকাল ১১টার দিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট উন্মোচন করা হয়। এছাড়া বেশির ভাগ মন্ত্রী সচিবালেয়ে আসেনি, আবার অনেক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী নিরবাচনী এলাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।