পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আর মাত্র দু’দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন সকালে মিষ্টি মুখ করা এবং অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য সেমাই, চিনি ও দুধ কেনাকাটায় ব্যস্ত এখন নগরবাসী। হাতে সময় কম থাকায় তারা ছুটছেন সেমাই-চিনি কিনতে।
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সেমাই, চিনি দুধের দোকানে ভিড়। স্বস্তির ব্যাপার এবার রমজানে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম আগে থেকে বাড়তি থাকলেও বাড়েনি সেমাইয়ের দাম। এছাড়া চিনির দামও রয়েছে স্থিতিশীল।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ঘুরে দরদামের এ চিত্র পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে খোলা সেমাই ছাড়াও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কজাত সেমাই।
এর মধ্যে রয়েছে বনফুল, মধুবন, আলাউদ্দিন, কুলসুন, প্রাণ, ফু-ওয়াং, বিডি ফুড, প্রিন্স, কিশোয়ান, ডেনিশ, পুষ্টি ও ডায়মন্ড। এসব লাচ্ছা সেমাইয়ের ২০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। এছাড়া ৫০০ গ্রামের স্পেশাল লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি খোলা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
নিউমার্কেটে ঈদ বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নেয়ামত উল্লাহ্ বলেন, ছোটবেলা থেকে সেমাই না খেয়ে ঈদের নামাজে যেতাম না। এখনও সেই রিতি প্রচলিত রয়েছে আমাদের পরিবারে। আমার কাছে ছাড়া তো ঈদ হয় না। তবে ভেজাল এড়াতে প্যাকেটজাত সেমাইকেই এখন অগ্রাধিকার দিচ্ছি আমি। কোনো কিছু কেনার সময় সেটি ভেজাল কি না-সেটা নিয়ে খুব চিন্তায় থাকি। তাই ব্র্যান্ডের সেমাইকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।
এদিকে প্রতি কেজি প্যাকেট জাত চিনি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা ও খোলা চিনি প্রতি কেজি ৫৬ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে দুই থেকে তিন টাকা এই দাম ওঠানামা করছে।
তবে সেমাই ও চিনির দাম স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে বিভিন্ন মসলার দাম। এলাচের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা, গত সপ্তাহ আগে এলাচ ১৫০০ শত টাকা কেজি থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ শত টাকা। একইভাবে ইরানি জিরা এখন কেজি প্রতি বিক্রি করছে ৪১০ টাকা, গত সপ্তাহে দাম ছিল ৩৯০ টাকা কেজি। তবে ইন্ডিয়ান জিরার দাম ৩৫০ টাকা গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লবঙ্গ ১১৫০ টাকা কেজি, কালো জিরা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা প্রতি কেজি, কিসমিস মানভেদে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দারুচিনি কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, কাচা বাদাম ৯০ থেকে ১০০ টাকার বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।