পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাজেটে বরাদ্দ না থাকলেও পর্যায়ক্রমে সকল নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির জন্য শিক্ষকদের আন্দোলন করার প্রয়োজন নাই। রোজার মধ্যে যারা কষ্ট করে আন্দোলন করছেন তাদেরকে ঘরে ফিরে যাওয়ারও অনুরোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। গতকাল (সোমবার) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে এফসিসিআইয়ের দুটি মাইক্রোবাসের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এমপিওভুক্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগে থেকেই কাজ করেছে। এখনও কাজ চলছে। বাটেটে সব বিষয়ে বরাদ্দ থাকার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বরাদ্দ না থাকলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে বরাদ্দ আছে এবং অর্থমন্ত্রীর যে থোক বরাদ্দ আছে সেখান থেকে এমপিওভুক্তি করানো সম্ভব। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সাথে আমার কথা হয়েছে। এটার কাজ চলছে। সেই হিসেবে আমরা এখন থেকেই এমপিওভুক্তি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটার একটা ফয়সালা করে আমরা পরবর্তীতে দেব। দেব না, তা মোটেই না। কিন্তু আমরা কীভাবে দেব, না দেব, সেটা ডিলের ব্যাপার। বাজেটে উল্লেখ না থাকলেও এটা কোনো বাধা না, এটা সম্ভব।
আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, এটা নিয়ে আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজন নেই। মিছিমিছি রোজার মাসে কষ্ট না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আপনারা বাড়ি ফিরে যান।
শিক্ষাখাতে কোন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে না মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ দেয়া হচ্ছে অভিযোগ করার পরপরই আমরা ঢাকা বোর্ডের আওতায় একটি কমিটি গঠন করেছি, আরও উচু স্তরের একটি (কমিটি) করব। অবশ্যই সত্যতা প্রমাণ করে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব, এ ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ। দুর্নীতি, অন্যায় ও অনিয়মে জিরো টলারেন্স, ব্যবস্থা অবশ্যই হবে। কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে।
নাহিদ বলেন, গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল। এই ট্রাস্টে গতকাল দুটি মাইক্রোবাস দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফসিসিআই)। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীনের উপস্থিতিতে এফবিসিসিআইভুক্ত দুটি সংগঠনের নেতারা মন্ত্রীর হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিযয়েশনের সাবেক সভাপতি ও শাহরিয়ারর স্টিল মিলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে মাসুদুল আলম মাসুদ এবং বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক মন্ত্রীর হাতে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব সোহরাব হোসাইন, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল করীম ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নন এমপিও শিক্ষকদের আন্দোলন: দ্বিতীয় দিনেও পুলিশের বাধা
এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের লাগাতর আন্দোলন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনেও বাধা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বাধার কারণে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তার উত্তর পাশে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান নেন তাঁরা। সেখানেও পুলিশ তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তিতে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ না রাখায় ফের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এর আগে রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁরা কর্মসূচি শুরু করলে পুলি বাধা দেয়। পরে ওই দিন তাঁরা প্রেস ক্লাবের দক্ষিণ পাশে অবস্থান নেয়।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা আবারও রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। ন্যায্য দাবি আদায়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিলেও পুলিশ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, সকল বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যহত থাকবে। এ কারণে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন। দাবি আদায় নানা হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এমপিওভুক্তির দাবিতে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে টানা ওই অবস্থান ও অনশনের একপর্যায়ে গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার তৎকালীন একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান সেখানে গিয়ে আশ্বাস দিলে তারা ঘরে ফিরে যান। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের যে বাজেট প্রস্তাব করা হয় সেখানে নতুন এমপিওভুক্তির বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি বলে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।