পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, সত্য বললে কেউ অখুশি হলে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি বলে সত্য প্রকাশ করবো না; তাতে কোন তোয়াক্কা করি না। সত্য বলতে গিয়ে কখনো সফল হয়েছি; আবার কখনো ব্যর্থ হয়েছি। আমৃত্যু সত্য বলেই যাবো। তিনি বলেন, মুসলমান বিপদগ্রস্ত হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু আমরা আমাদের স্বভাব ও কর্মের জন্য বিপদগ্রস্ত হচ্ছি। আজকে পবিত্র কুরআন ও ইসলামকে নকল করে অনুসরণের মাধ্যমে অমুসলিমরা আমাদেরকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তার কারণ হলো আমরা যা বলি তা করি না।
হাসান উদ্দিন সরকার শনিবার নিজের প্রতিষ্ঠিত টঙ্গীর আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্্র মিলনায়তে এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন। তার চাচা মরহুম নবীন সরকারের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পুর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক বসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, মো. খায়রুল হাসান, ইরফানুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মো. মিজানুর রহমান, মো.ফখরুল আলম সিফাত, মোশারফ হোসেন, হাফেজ মোতালেব হোসেন মন্ডল, মহিউদ্দিন, মাওলানা নেছার উদ্দিন মাসুদ, মাওলানা কবির হোসেন, অ্যাডভোকেট শামীম মৃধা, কাউন্সিলর শেখ মো. আলেক, নকিব উদ্দিন সরকার অপু প্রমুখ। মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি সাইয়েদুর রহমান।
হাসান সরকার আরো বলেন, মানুষ নামাজ পড়ছে। কিন্তু নামাজের কোন তাসির (প্রভাব) হচ্ছে না। আমাদের চলাফেরা; কৃষ্টি-কালচার একেবারে পরিবর্তন হয়ে গেছে। ছোঠ ছোট ছেলে-মেয়েরাও বড় বড় অপরাধ করছে; কেউ কিছু বলছে না। স্কুল-কলেজে শাসন নাই বললেই চলে। একদিকে শাসন উঠে যাচ্ছে; আবার অন্যদিকে ছেলে-মেয়েদের জন্য মোবাইল ফোন ফ্রি করে দেয়া হচ্ছে এবং বেশ দামী মোবাইল সেট হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা যে ভুলটা করেছি; আমাদের ছেলে-মেয়েরা যাতে সেই ভুলটা না করে। আমার অভিজ্ঞতার কথা থেকে বলছি; আগে সন্তানদের মাদরাসায় পড়তে দিন। মাদরাসা থেকে পড়ে পরবর্তীতে ইঞ্জিনিয়ার হলে রডের পরিবর্তে বাঁশ দিবে না। ডাক্তার হয়ে খোতাভীত নিয়ে দায়িত্বের সাথে রোগীর অপারেশন করলে আল্লাহর রহমত আসবে।
তিনি আরো বলেন, এখন ভাবার সময় এসেছে। সবাই কেন উত্তরায় চলে যাচ্ছে ? আমরা উত্তরে, দক্ষিণে, পশ্চিমে কোন দিকেই গেলাম না। আমরা যারা রয়ে গেছি তারা কি আধু ? উত্তরায় যে পরিবেশ টঙ্গীতে তা নাই কেন। কারা এই পরিবেশ বিনষ্ট করেছে ?
তিনি বলেন, আমি যেই পরিবেশ টঙ্গীতে তৈরি করেছিলাম। সেই পরিবেশ নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। আর কিছু না দিতে পারলেও আপনাদের কথা দিলাম; আবার সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনবো। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে, যাতে উত্তরা না যেয়ে গাজীপুইে সেই চাহিদা পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করবো।
হাসান সরকার আরো বলেন, আমার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে বিভিন্ন সময় এই সমাজের বিভিন্ন স্তর দেখেছি। বিভিন্ন মুরব্বীদের কাছ থেকে শিখেছি; উলামার (আলেমদের) কাছ থেকে শিখেছি; আবার বই পুস্তক থেকেও শিখেছি। একটি বিশেষ সময়ে এসে আমার পুরো অভিজ্ঞতাকে সমাজ বিনির্মাণে কাজে লাগাতে চাই। সেজন্য আপনাদের দোয়া, সমর্থন ও মূল্যবান ভোট চাই।
এদিকে তাকে নিয়ে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারিতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাসেও এমন ডাহা মিথ্যা কথা বললে তারা রহমত-বরকত কিভাবে পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।