পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের নদী ভাঙ্গন রোধ ও নদী খনন এবং ড্রেজিং প্রকল্পে কাজ অনেক জেলায় এখনো শেষ হয়নি। অথচ চলমান প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। ২০০৯ সালে শেষ হওয়া প্রকল্পগুলোর বিষয়েও একই প্রতিবেদন দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন,আসলে যখন কোন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় তখন থেকে চলমান পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে সেই টুকুর বাস্তবায়ন দেখানো হয়। আর যেগুলো ২০০৯ সালে শেষ হয়েছে সেগুলো আবার দেখানো হচ্ছে না। তবে সরকারের দশ বছরের উন্নয়নের প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযে এক মহাপরিচালক জানান, যারা এ ধরনের তথ্য দিচ্ছে সেগুলো আমরা পযর্বেক্ষণ করছি। কেউ মিথ্যা তথ্য দিলে সেই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রæতি দিয়েছেলেন ৫২টি প্রকল্পের। এ মধ্যে শেষ হয়েছে ২৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে ১৪৩টি প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৯টি এবং সমীক্ষা শেষে ডিপিপিতে রয়েছে ৩টি। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন শতভাগ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়।সেই প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকল্পের বাস্তবায়ন মিল নাই বলে জানা গেছে।
প্রকল্প গুলো হচ্ছে, বন্যা প্রতিরোধকল্পে গোপলগঞ্জ সদর উপজেলা গোবরায় মধুমতি নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প এটি ২০০৯ সালে বাস্তায় শেষ হলেও তা দেখা হয়েছে এবার। তিস্তা ব্যারেজ থেকে তিস্তা সড়ক সেতু পযন্ত নদী খননের সংরক্ষণের কাজ এবং তিস্তা নদীর বাম তীররের অসমাপ্ত নদী শাসনের কাজ এর আওতায় ২ কিলোমটার সংস্কার কাজ করা । জামালপুর জেলাকে যমুনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ঢাকা- নারায়নগঞ্জ-ডেমরা এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ। এ প্রকল্পটি ২০১১ সালে কোটি ৫৯ লাকা টাকা দিয়ে শুরু করা হয়। ১১৩ কিলোমিটার খালের বর্জ্য অপসারণ ও নিস্কাশনের কাজ করা হয়। তার পরে ২০১৫ সালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ডিএমডি প্রকল্প হস্তান্তরের লক্ষ্যে একটি আন্ত:মন্ত্রনালয় বৈঠক হয়। ওই সভায় ঢাকা র দক্ষিণ সিটি এবং নারায়নগঞ্জ সিটি প্রকল্প গ্রহণ করবে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পরে কোন অগ্রগতি না হওয়া ১৬ সালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ৩য় দফা আন্ত:মন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থায়ী ভাবে ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা দুরীকরণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। পরে ডিএনডি প্রকল্প গ্রহণ কাজ শুরু পানি উন্নয়ন বোর্ড এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬৬৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। তবে কাজ হতে না হতে প্রতিবছর প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে কিন্তু সমস্যা সমাধান এখনো হচ্ছে না। তারপরও প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে শতভাগ। স›দ্বীপের দক্ষিন –পশ্চিমের ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধ পুন:নির্মাণ প্রকল্প একই অবস্থা। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের ৩০ জুনে। সে খানেও প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে শতভাগ। লালমহিনর হাটের দহগ্রাম ইউনিয়নকে তিস্তা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষাকল্পে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প নেয়া হয়। সেখানে প্রকল্পের মেয়াদ কাল ধরা হয়েছে ৩০জন ২০২১ সাল। প্রকল্পের বরাদ্দ ৫০০কোটি টাকা। সে প্রকল্পেরও শতভাগ বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে।
এদিকে অন্যন্যা প্রকল্প গুরো হচ্ছে, লালমনিরহাট জেলাকে তিস্তা নদীর আকস্কিক বন্যা ও ভাঙ্গান থেকে রক্ষা করার জন্য তীর সংরক্ষণ ও বাধ নির্মাণ প্রকল্প। শুস্ক মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ডেজিংএর মাধ্যমে তিস্তা নদীর নবতা বজায় রাখার ব্যবস্থা করা । এ প্রকল্পের কাজ ২০১৩ সালে শেষ হয়েছে তারপর এখন দেখানো হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ শহরকে যমনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর ব্যবস্থা প্রকল্প। খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ভুতিয়ার ও বাসুখালী বিলের জলবদ্ধতা নিরশনের প্রকল্পের কাজ চলমান । এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন। চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলাতুলি এলাকায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গাণ রোধেকল্পে নদী শাসন এবং জিকে সেচ প্রকল্পের আদলে সেচ সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে মহানন্দা নদীর ড্রেজিংকরা এবং বারার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের শেষ হওয়ার কথা এ বছরে জানুযারী অথচ সে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখানো হযেছে ৯৫ দশমিক ৩২ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।