Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চোরাচালান চক্র সক্রিয়

খুলনায় অপরাধ জগত

| প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

০ প্রতি মুহূর্তে রুট বদলাচ্ছে ০ প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন
আবু হেনা মুক্তি : ভারত থেকে সীমান্তপথে আসা চোরাচালানের পণ্যে সয়লাব হয়ে গেছে বৃহত্তর খুলনাঞ্চল। রমজানের শুরু থেকেই চলছে চোরাকারবারীদের মহোৎসব। খুলনা বেনাপোল কমিউটার ট্রেনেও আসছে ভারতীয় পণ্য। র‌্যাব, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও বিজিবি চোরাচালান হয়ে আসা পণ্য উদ্ধার করলেও চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না। অভিযানে তিন কোটি কখনও সাত কোটি টাকার মালামাল ধরা পড়লেও খুলনা অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে চোরাচালান চক্র।
সূত্র জানায়, চক্রটি যাতে ধরা না পড়ে সে জন্য প্রতি মুহুর্তে রুট পরিবর্তন করে সীমান্তপথে নিয়মিত ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিচ ও কাপড় এবং গরম মসলাসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসে। রমজানের প্রথম সপ্তাহের পরই খুলনা মহানগরীর বিপণী বিতানগুলোয় শোভা পাচ্ছে ভারতীয় শাড়ি।
অপরদিকে মিয়ানমার থেকে মাদক ইয়াবা এবং ভারত থেকে ফেনসিডিল ও গাঁজা ঢুকছে। পুলিশ বলছে, মাদকের কারণেই বৃহত্তর খুলনায় অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের পূর্ব মুহুর্তে নেশার টাকা যোগাতে মাদকসেবীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেও থেমে নেই বেচাকেনা। বর্তমানে আড়ালে আবডালে মাদক বিক্রি চলছে।
সূত্রমতে, সা¤প্রতিককালে খুলনাসহ পাশ^বর্তী এলাকায় ভারতীয় কাপড়ের চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায় বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা এলাকায় কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন তাদের টহল জোরদার করেছে। ঝটিকা অভিযানে উদ্ধার হচ্ছে চোরাচালানের পণ্য। তাছাড়া ঈদকে সামনে রেখে চোরাচালান চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা জানান, একটি চক্র সীমান্তপথে ভারতীয় কাপড়ের চোরাচালানী করেছে। চক্রকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে, খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এলাকায় চোরাচালান সিন্ডিকেট এখন সক্রিয়। ২০/২৫ জনের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খুলনাঞ্চলে চোরাচালান হয়ে আসা পণ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় শাড়ি ও থ্রি-পিচ। এছাড়া ইয়াবা, ফেনসিডিল গাঁজা ও ভারতীয় নিম্নমানের মদ আসছে দেদারছে। সীমান্ত দিয়ে পার হয়ে আসা মাদকদ্রব্যের মধ্যে সামান্য ধরা পড়েছে র‌্যাব ও পুলিশের হাতে। দু’একজন এজেন্ট ধরা পড়লেও প্রকৃত গডফাদাররা ধরা পড়ছেনা।
খুলনা নাগরিক সমাজের নেতা মো. আব্দুল হালিম বলেন, চোরাচালান দেশের মেরুদন্ড ভেঙে দিচ্ছে। প্রকৃত ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছেন। আর একটি চক্র চোরাচালানী করে রাতারাতি কোটিপতি হয়। এদেরকে রুখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সজাগ হতে হবে।

 



 

Show all comments
  • বাবুল ৮ জুন, ২০১৮, ২:০৯ এএম says : 0
    এক্ষেত্রে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অপরাধ

২০ ডিসেম্বর, ২০২২
২৭ নভেম্বর, ২০২২
২৪ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ