পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তাবিত বাজেটকে লুটপাটের বন্দোবস্ত এবং ধনীক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার বাজেট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট উপস্থাপনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, ঘোষিত বাজেটে গরিব জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির খাতে বিশাল অংকের অর্থ বরাদ্দ করে কাবিখা, টি.আর ও কর্মসৃজন প্রকল্পের নামে সরকার দলীয় লোকদের প্রস্তাবিত বাজেটের লুটপাটের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা না করে প্রস্তাবিত বাজেটে ধনীক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার প্রচেষ্টা বিদ্যমান। তাই এই ধরনের বাজেট সাধারণ জনগণের কোন উপকারে আসবে না। নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার অবাস্তব ও গরীব ধ্বংসের বাজেট ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে বিগত নয় বছরে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজির কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে চরম সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশ পরিচালনায় উন্নয়ন ও উৎপাদনে ব্যর্থ হয়েছে। শেয়ারবাজার কেলেংকারীর মাধ্যমে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ও কোটি কোটি মধ্যবিত্ত বিনিয়োগকারীর অর্থনীতি ও জানমালের নিরাপত্তা দিতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতি ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে। দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিসহ জনগণের সমস্যা সমাধানে সরকার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। তারা বলেন, সাধারণ মানুষের ওপর বিভিন্ন কায়দায় ট্যাক্স-ভ্যাট-করের বোঝা কমানো হয় নাই। বরং একচেটিয়া বড় পুঁজির জন্য নতুন নতুন সুযোগ ও ছাড় দিয়ে জনগণের ওপর লুটপাটের মাত্রাকে আরও তীব্র করার পথ সুগম করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণের সম্পদ ধনীদের ঘরে কেন্দ্রীভূত করার যে প্রক্রিয়া চলছে তা আরও প্রকট হবে। বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট শিল্প বিকাশ ও কর্মসংস্থানের প্রশ্নে দিশাহীন। এ বাজেটে কৃষির ওপর নির্ভরশীল বিরাট সংখ্যক গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য সামান্যতম রাষ্ট্রীয় সহায়তা নেই। সেচের ডিজেল-বিদ্যুৎ, সার-বীজের ওপর প্রত্যক্ষ ভর্তুকি নেই। উৎপন্ন ফসলের জন্য মূল্য সহায়তা নেই। একইভাবে দেশের শ্রমিক জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো সহায়তা, কর্মপ্রত্যাশীদের জন্য কোনো পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি। পাচার হওয়া হাজার হাজার মানুষের জন্যও কোনো সহায়তার কথা বলা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।