পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নারী উন্নয়নে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭’শ ৪২ কোটি টাকার জেন্ডার বাজেট উপস্থাপন করেছেন। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ২৫ হাজার ৭শ’ ২৩ কোটি টাকা বেশি।
অর্থমন্ত্রী গতকাল জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ৪৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের জন্য পৃথক রজন্ডার বাজেট উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও ১৬টি বিভাগকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এবছর প্রস্তাবিত অনুন্নয়ন বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭শ’ ৪২ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২৯ দশমিক ৬৫শতাংশ এবং জিডিপি’র ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বিগত বছরগুলোর বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ বছরে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ দ্বিগুনেরও বেশি বেড়েছে। যেখানে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জেন্ডার বাজেটে বরাদ্দ ধরা হয়েছিলো ৫৯ হাজার ৭’শ ৫৬ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ বেড়েছে ৭৭ হাজার ৯’শ ৮৬ কোটি টাকা।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই বরাদ্দ ছিলো ৬৪ হাজার ০৮৭ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিলো ৭১হাজার ৮শ’ ৭২ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৯২হাজার ৭শ’ ৬৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের নারী উন্নয়নে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২৭ দশমিক ৯৯ শতাংশে উন্নীত হয়।
গতবারের মতো এবছরও জেন্ডার বাজেটকে তিনটি অংশে ভাগ করে নারী উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর প্রথম অংশে নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চারটি মন্ত্রণালয় ও পাঁচটি বিভাগের জন্য বাজেট প্রস্তাব করা হয়। এগুলো হলো; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। এবছরের নারী উন্নয়ন বাজেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে দুটি বিভাগ এবং শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে দুটি বিভাগকে জেন্ডার বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
দ্বিতীয় অংশে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রমবাজার ও আয়বর্ধক কাজে নারীর অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আটটি মন্ত্রণালয় ও একটি বিভাগের জন্য বাজেট প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় , যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় , স্থানীয় সরকার বিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় , দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জেন্ডার বাজেটের তৃতীয় অংশে সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে নারীর সুযোগ বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয়। এতে ১৫ টি মন্ত্রণালয় ও ১০ টি বিভাগের জন্য জেন্ডার বাজেটের প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ , গৃহায়ন ও গণপুর্ত মন্ত্রণালয় , তথ্য মন্ত্রণালয় , সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় , ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও পরিবহন বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এবছর জেন্ডার বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জায়গায় জননিরাপত্তা বিভাগ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগ জেন্ডার বাজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।