Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী -অর্থমন্ত্রী

বিদ্যুৎ খাতে ২২ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা প্রস্তাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৮, ৮:৪৮ পিএম

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমানে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী। ২০২০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার মেগাওয়াট। আগে আমরা ঠিক করেছিলাম ২০২৪ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের ২২ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখেন যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৪ হাজার ৪২ কোটি টাকা বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ খাতে এই বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী। সরকারের ৯ বছরের চেষ্টায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে ১১৮টি উন্নীত করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা তিন গুণ বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে ১০ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট। তিনি বলেন, ২০২০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার মেগাওয়াট। আগে আমরা ঠিক করেছিলাম ২০২৪ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করব। কিন্তু এখন ২০২০ সালেই ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে যাচ্ছে। গত ৯ বছরে ২ হাজার ৬২২ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং এক লাখ ৭৪ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সিস্টেম লস ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। উৎপাদনক্ষমতা যথাক্রমে ২০৩১ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২৯৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে বর্তমানে ১৫ হাজার ২০৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।এছাড়া ৪ হাজার ৪৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। ভবিষ্যতে আরও ২২ হাজার ৫২ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরও ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা আছে সরকারের। তিনি বলেন, রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, মাতারবাড়িতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, পটুয়াখালীর পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ করছে। এছাড়া মহেশখালীতে ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন খাত দেশি ও বিদেশি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সহায়তায় পাবনার রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রথম পর্যায়ের কাজ চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ শেষ হবে। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভেড়ামারা-বহরমপুর লাইন এবং উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বাড়ানোর হচ্ছে। ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ত্রিদেশীয় সমঝোতা চুক্তি সই চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এছাড়া নেপাল, মিয়ানমার ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে আলোচনা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ