পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ কাওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর ৪১তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গড় পাশের হার ৭৬.৬৯ শতাংশ । ছাত্রদের পাশের হার ৮২.৬৩ শতাংশ । ছাত্রীদের পাশের হার ৬৭.৬৩ শতাংশ । পরীক্ষায় তাকমীল (এমএ) ব্যতিত ৬টি স্তরে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৫০ জন অংশগ্রহণ করে। স্টার মার্ক পেয়েছে ১৭ হাজার ১২৯ জন ও প্রথম বিভাগে পাশ করেছে ২০ হাজার ৫১৯ জন ছাত্র-ছাত্রী। মোট উত্তীর্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা-৮৮ হাজার ৭২৬ জন। গতকাল বেলা ১০ টায় বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ পরীক্ষার ফলের ফাইল বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (দা.বা.)-এর নিকট হস্তান্তরের পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। এ সময় মহাসচিব বলেন, দুনিয়াবি এ পরীক্ষায় যেসকল ছাত্র/ছাত্রী পাশ করেছে, তাদেরকে আখেরাতের পরীক্ষায়ও পাশ করার প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি বলেন, কাওমি মাদরাসার পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিয়ে সফলতার নজির স্থাপন করেছে। এরাই যোগ্য আলেম হয়ে জাতির সামনে ইসলামের বাণী তুলে ধরবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের সহকারি মহাসচিব মুফতি নুরুল আমীন, মহাপরিচালক হযরত মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, প্রবীন নিরিক্ষক মাওলানা আ. গণী, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতী আমিনুল হক, মাওলানা আব্দুর রশিদসহ রফিকুল হক ও বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষার ফলের সকল তথ্য বেফাকের নিজস্ব ওয়েব সাইট www.wifaqresult.com তে পাওয়া যাবে।
স্তরভিত্তিক পাশের হার হচ্ছে
ফযীলত (স্নাতক) বালক ৭৩.১৬ শতাংশ বালিকা ৬৮.৪৩ শতাংশ । সানাবিয়া ‘উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) বালক ৭৩.৮৪ শতাংশ এবং বালিকা ৫৮.০১ শতাংশ । মুতাওয়াসসিতাহ (নিম্ন মাধ্যমিক) বালক ৮৬.৭২ শতাংশ বালিকা ৭০.২৮ শতাংশ । ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারী) বালক ৮১.৮৩ শতাংশ বালিকা ৬৮.০৭ শতাংশ । এছাড়া তাহফীজুল কুরআন ও ‘ইলমুত তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত বিভাগের পাশের হার যথাক্রমে ৮৭.৩৬ শতাংশ এবং ৮৭.০৩ শতাংশ ।
মেধা তালিকা ফযীলত (স্নাতক) বালক শাখায় ১ম ঢাকা জেলার মাদরাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর-এর সুলতান আহমদ মি’রাজ, ২য় ঢাকা জেলার জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মুহাম্মদপুর-এর সৈয়দ আবু সায়ীদ ও ঢাকা জেলার জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ-এর হুমায়েদ আল-মামুন।
বালিকা ১ম বরিশাল জেলার চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ বালিকা শাখা-এর মোসা: রুকাইয়া। ২য় স্থান অধিকার করেছে চট্টগ্রাম জেলার তাহফিজুল কুরআন ইসলামি আরবি বালিকা মাদরাসা হালি শহর-এর মাহা মো: আব্দুল্লাহ।
সানাবিয়া ‘উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক) বালক শাখায় মেধা তালিকায় ১ম ঢাকা জেলার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদের মুহাম্মদ গালিব আনোয়ার সিদ্দীকী ও ঢাকা জেলার জামি‘আ বাইতুল আমান মিনার মসজিদ মোহাম্মদপুরের মুহা. আব্দুর রহমান। ২য় মাদারিপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ-এর মো: মাহবুব চৌধুরী। বালিকা ১ম মোমেনশাহী জেলার মিফতাহুল জান্নাত মহিলা মাদরাসা গলগন্ডার মাসুমা। ২য় স্থান অধিকার করেছে ঢাকা জেলার দারুল উলুম গোলাপবাগ মহিলা মাদরাসার কানিজ ফাতেমা এশা।
মুতাওয়াসসিতাহ (নি¤œ মাধ্যমিক) বালক শাখায় মেধা তালিকায় ১ম কুমিল্লা জেলার রাজাপুর জামিয়া ইসলামিয়া মুহাম্মদিয়া-এর মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ ও ঢাকা জেলার জামিয়া কারিমিয়া আরাবিয়া রামপুরা-এর মাহবুবুর রহমান রায়হান। ২য় মোমেনশাহী জেলার জামিয়া ফয়জুর রহমান (রহ.) বড় মসজিদ-এর তানবীর আহমদ তা’রীফ। বালিকা ১ম ঢাকা জেলার আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া রানাভোলা-এর তাসনুফা সিদ্দীকা উমামা। ২য় স্থান অধিকার করেছে একই মাদরাসার মারিয়া আক্তার।
ইবতিদাইয়্যাহ (প্রাইমারী) বালক শাখায় মেধা তালিকায় ১ম মাদারিপুর জেলার জামিয়াতুস সুন্নাহ শিবচর-এর সাখাওয়াত হোসেন। ২য় গাজীপুর জেলার দারুল হিকমাহ ইসলামিয়া মাদরাসার মো: ইমরান হোসাইন।
বালিকা ১ম লালমনির হাট জেলার আলহাজ্ব আবুল কাশেম ও মরহুমা ফাতেমা খাতুন মারকাযুল কুরআন মহিলা মাদরাসার মোছা: হালিমাতুস সা’দিয়া হাসিবা। ২য় মোমেনশাহী জেলার আল-হেরা মহিলা মাদরাসা মুক্তাগাছা-এর মাসুমাতুল ইসরাত।
হিফযুল কুরআন মারহালার ৫৮ টি ও কিরাআতের তিনটি গ্রচপে (প্রতি গ্রচপে ৩ জন করে) পৃথক পৃথক ভাবে মেধা তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।