বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচন একতরফা করতে ভারতের কাছ থেকে গ্যারান্টি চাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারত থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ভারতকে যা দিয়েছি তা ভারত সারাজীবন মনে রাখবে-আমরা কিন্তু তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি, আমরা কোন প্রতিদান চাই না। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের অর্থ ভারতের কাছ থেকে আগামী নির্বাচন একতরফা করতে গ্যারান্টি চাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ভারতের কাছ থেকে, এটাই একমাত্র প্রতিদান আশা করেন অন্য কিছু নয়। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতিদান চেয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাই যদি হয়ে থাকে তবে জনগণের জানার অধিকার আছে যে, ভারতের কাছে কী প্রতিদান চাওয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে কী আশ^াস পাওয়া গেছে। বছর খানেক আগেও প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন, তখন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিসরে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার অনেকগুলো চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির একগুঁয়েমির অজুহাত দেখিয়ে তিস্তার পানির কোন প্রাপ্তিই ঘটেনি। সেসময় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৬২ দফার যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছিল, সেখানে চুক্তি ও সমঝোতার স্মারকের সংখ্যা ছিল ২২টি। অথচ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে টু শব্দটিও করেনি এবং যৌথ বিবৃতিটিও প্রকাশের কোন আগ্রহ দেখাননি। কোনকিছু ঢাকতে গেলে ঢাকনীর ভেতর থেকে কোন না কোনভাবে গোপন বিষয়টি বেরিয়ে আসবেই। স্বাধীন দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতায় উভয় পক্ষের প্রত্যাশা থাকে, কিন্তু বাংলাদেশের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলাতে গিয়ে দেখা যায় বাংলাদেশের প্রাপ্তি শুভঙ্করের ফাঁকি আর ভারতকে সব দিয়ে দেয়া হয়েছে উজাড় করে।
আওয়ামী লীগ আবারও একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন ও ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় আটকে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার এই ইচ্ছা আর পূরণ হবে না। কারণ, মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে বদ্ধপরিকর। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর তা হবে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।