দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
তফসীরে কুরতুবীতে উল্লেখ আছে যে, একদা জনৈক ব্যক্তি হযরত ইমাম হাসান (রা:) কে জিজ্ঞেস করল, কদর রাত কি প্রত্যেক রমজান মাসেই হয়? এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? উত্তরে তিনি বললেন : আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তাঁর নাম নিয়ে বলছি, প্রত্যেক রমজান মাসেই এই রাত আসে। ইহা এমন একটি রাত, যাতে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মিমাংসা করা হয়। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত তাঁর সৃষ্টি কুলের জন্ম ও মৃত্যু, রিজিক ও কর্ম প্রবাহ সকল বিষয়ের এই রাতে ফায়সালা করে দেন।
প্রকৃত পক্ষে সময় ও কাল, দিনও রাত্রির ক্রমধারা একটানাও অব্যাহত আছে এবং থাকবে। এর কোন একটি অংশের-একটি মাত্র রাত্রির মর্যাদা ভিন্নতর হওয়ার বিষয়টি সাধারণত যেমন তাৎপর্যপূর্ণ তেমনি দূবোধ্য ও বটে। কিন্তু কদর রাত্রির অসামান্য ও অসাধারণ মর্যাদা ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে কুরআনুল কারীম ও হাদীসের এত অধিক ঘোষণা রয়েছে যে, তা’ সাধারণ মানুষের পক্ষে আয়ত্ত করা বড়ই কঠিন। এর রহস্য উদঘাটনে দু’টি কথা অবশ্যই বলা যেতে পারে। এক : আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের নিকট এই রাতটির একটা ভিন্নতরও অনন্য বৈশিষ্ট্য পূর্ণ মর্যাদা রয়েছে। যার কারণে তিনি এই রাতে অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদা সম্পন্ন বিষয়াবলীর ফায়সালা সৃষ্টির শুভ সূচনাকাল হতেই নিষ্পন্ন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। দুই : সময় ও কাল অনাদিও অনন্ত। এর মাঝে কদর রাত্রির সময়টুকুর আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই আলাদা বৈশিষ্ট্যের কারণেই অনাদি ও অনন্তকাল ধরে মহান রাব্বুল আলামীন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ফায়সালা এই রাতে সম্পন্ন করে থাকেন। তবে এই রাত্রিটির মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্যটি হলো-আল্লাহপাকের নিকট মকবুল ও মঞ্জুর হওয়া। এই বিষয়টি শুধু কেবল কদর রাত্রির মাঝেই বিশেষভাবে পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।